প্রায় দেড় বছর পর সারা দেশে খুললো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সকাল থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়। বই-খাতা নিয়ে সকাল-সকালই হাজির হয় শিক্ষার্থীরা। অনেক দিন পর পুরনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তারা। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের পাশাপাশি সারা দেশের ন্যায় ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জেও ছিল শিক্ষার্থীদের বরণ করতে স্কুলগুলোতে নানা আয়োজন।
দুই উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সাজানো হয়েছে রং-বেরঙের বেলুন দিয়ে। ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন জায়গায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁলতে দেখা যায় করোনা থেকে সুরক্ষায় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নানা ফেস্টুন। শ্রেণিকক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। স্কুলে একটি কক্ষকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
দীর্ঘসময় পর আবার শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদান করায় শিক্ষকদের মনেও ছিল উৎসবের আমেজ। অনেকে ভর্তি হওয়ার পর একদিনও সুযোগ পায়নি শ্রেণি কক্ষে বসার। তাই প্রথমদিন শ্রেণি কক্ষে সশরীরে কøাস করতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।
করোনা সংক্রমন থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বাধ্যতামূূলক মাস্ক ব্যবহার, হাত জীবানুমুক্ত রাখা ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এম হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পেরে আমরাও আনন্দিত।
হাসনাবাদ সেন্ট ইউফ্রেজীস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার মেবেল কস্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন উৎসবমূখর। শিক্ষার্থীদের আজ আমরা নতুন করে বরণ করে নিয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.