‘সবাই খালি ছবি তুলে। কেউ তো কিছু দেয় না। আইজকা ২০ দিন অইলো পানিতে ঘর ডুইবা গেছে। যে আহে হেই ছবি তুলে ভিডিও করে। ছবি তুইলা কি অইবো। আমরা কত কষ্টে আছি। ঘরে পানি। মাচা বানাইয়া থাকতাছি। এক মাস ধইরা কাম কাইজ নাই কেউর। সবাই বেকার বইসা রইছে।’ এভাবে আক্ষেপের স্বরে কথাগুলোকে বলছিলেন বন্যায় ঘর ডুবে যাওয়া হরিদাসী মণি।
তার সাথে সুর মিলিয়ে দিপালী রানীও বললেন বর্ষায় তাদের কষ্টের কথা। তিনি বলেন, ‘সবাই তো ছবি তুলবার আহে। আমরা থাহি কত কষ্টে। কেউ তো চাল ডাইল নিয়া আহে না। ঘরের মধ্যে ঢুইকা গেছে পানি। পোলাপান নিয়া কত কষ্টে আছি। কেউ তো একটু চাইয়াও দেহে না’।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের তিতপালিদয়া, পানিকাউর, কঠুরি, আশয়পুর, রায়পুর, ঘোষাইল, কেদারপুর, আর ঘোষাইল, রাজাপুর, বালেঙ্গা, কান্তারটেক, খাটবাজার, নয়াডাঙ্গী, চারাখালী ও পশ্চিম সোনাবাজু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার।
বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। সরকারি বেসরকারি কোনো ত্রাণও পোঁছায়নি। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে বন্যাকবলিত এসব এলাকার বাসিন্দারা। পদ্মার পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। তলিয়ে গেছে স্কুল, হাঁট-বাজার, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সহ গুরুত্বপূূূূর্ণ স্থাপনা। পানি বৃদ্ধির ফলে গৃহপালিত গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.