টানা বৃষ্টি আর পদ্মার অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ১২ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত। আর আংশিক পানিতে নিমজ্জিত আছে ২৬ হেক্টর জমির রোপা আমন । তবে কৃষকদের মতে, ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাকি আমন জমিগুলো হুমকির মুখে রয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, নয়নশ্রী, যন্ত্রাইল, শোল্লা, কৈলাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্রি-৪৯, ব্রি-৭৫, ব্রি-৮০, ব্রি-৮৭ জাতের রোপা আমন ধান লাগিয়েছেন চাষিরা। এ বছর ওই ৬ ইউনিয়নে ৩১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পদ্মায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে ১২ হেক্টর জমির রোপনকৃত রোপা আমন ধানের জমি সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত । আর ২৬ হেক্টর জমিতে আংশিক পানি প্রবেশ করেছে।
বারুয়াখালী ইউনিয়নের জৈনতপুর এলাকার শামীম হোসেন জানান, ‘আড়াই বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছি। এক সপ্তাহরে বেশি রোপা আমন ক্ষেতে পানিতে ডুবে আছে। এভাবে যদি পানিতে ধানের চারা নিমজ্জিত থাকে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। রোপনের খরচও উঠবে না। এই বার বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে আছি।’
তিনি আরও জানান, শুধু পানিতে ডুবেই ক্ষতি হচ্ছে না। নিচু অঞ্চলের অনেক আমন ক্ষেতে কচুরিপানা ও নানান ধরনের আগাছা ভেসে এসেছে। ফলে পানি কমতে শুরু করলে এসব ক্ষেতের পরিচর্যা করতেও দীর্ঘ সময় লাগবে। একইসঙ্গে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এছাড়াও ক্ষেতের অনেক চারা গাছ পচে নষ্ট হওয়ায় আমনের উৎপাদনও কমে যাওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আসমা জাহান বলেন, চলতি মৌসুমে ৩১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পদ্মায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে ১২ হেক্টর জমির রোপনকৃত রোপা আমন পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত। আর ২৬ হেক্টর জমিতে আংশিক পানি প্রবেশ করেছে। আমনের জমি থেকে দ্রুত পানি সরে গেলে কৃষক ক্ষতির মুখ থেকে অনেকটা রেহাই পাবে। অনেক এলাকা থেকে পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে পানি সরে গেলে ফসলের খুব একটা ক্ষতি হবে না।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.