1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

কঠোর লকডাউনের দুইদিন: দোহার-নবাবগঞ্জে ১৭২ জনকে জরিমানা

প্রিয়বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:
  • আপডেট : শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১
  • ৭৬৮ বার দেখা হয়েছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন ছিল আজ। প্রথম দিনের তুলনায় ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল ছিল অনেকটা বেশি। লকডাউন দেখতে বের হওয়া উৎসুক জনতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মোটরসাইকেল নিয়েও বের হয়েছেন অনেকে। কোনো কোনো এলাকায় লোকজনকে নির্বিঘেœ ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। তবে সড়কে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের কড়াকড়ি কমেনি একচুলও।

লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করার অভিযোগে শুক্রবার ও শনিবার দুইদিনে দোহার-নবাবগঞ্জে ১৭২ জনকে জরিমানা করেণ ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে নবাবগঞ্জে ৯০ জনকে ও দোহারে ৮২ জনকে দেয়া হয় অর্থদন্ড। এর মধ্যে শখের বশে লকডাউন দেখতে বের হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ফাঁদে পড়েন অনেকে। কঠোর লকডাউন কার্যকরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে মাঠে ছিলেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশানার (ভূমি) অরুণ কৃষ্ণ পাল। লকডাউন অমান্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর দেখা গেছে তাদের।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের সাথে সমন্বয় রেখে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দিনের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনেও মাঠে তৎপর দেখা গেছে নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ও দোহার থানার ওসি মোস্তাফা কামাল সহ পুলিশ সদস্যদের।

কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনের চেয়ে দোহার উপজেলার বিভিন্ন সড়কে রিকশাও চলতে দেখা গেছে বেশি। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চলাচলও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে মূল সড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে বসানো ছিল চেক পোস্ট। পাড়া-মহল্লার দৃশ্যপটটা ছিল অনেকটা ‘স্বাভাবিক’ দিনের মতো। অলিগলির চেহারা দেখলে বোঝার উপায় ছিল না যে লকডাউন চলছে। যে যার মতো ঘর থেকে বের হয়ে মেতেছিল আড্ডাবাজিতে। চায়ের দোকানগুলোতে দেখা গেছে গণজমায়েত। উপজেলার সদরের বাইরের বাজারগুলোতে সকাল থেকে আগের মতোই খোলা ছিল দোকানপাট ও কাঁচাবাজার। বাজারগুলোতে বরাবরের মতোই ভিড় জমিয়ে কেটাকাটা করছে মানুষ। এই কঠোর লকডাউনেও মাস্ক না পড়ে অনেকে বের হয়েছেন রাস্তায়।

সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে দোহার উপজেলার মৈনট ও বাহ্রা ঘাটে বারবার যেতে দেখা গেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের। যে কারণে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই চোখে পড়েনি পদ্মাপাড় গুলোতে।

লকডাউন বাস্তবায়নে শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে দোহার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ ও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। জরিমানা করেন ৪৮ জনকে। এদের মধ্যে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া ব্যক্তির সংখ্যাই বেশি।

অন্যদিকে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয়দিনে নবাবগঞ্জে বেড়েছিল যান চলাচল। মানুষের চলাচলও বেশি দেখা গেছে প্রথম দিনের তুলনায়। তবে বের হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের সাথে সমন্বয় রেখে মাঠে দেখা গেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের। উপজেলা সদর ছাড়াও বাগমারা, সুরগঞ্জ, কলাকোপা, সাদাপুর, কাশিমপুর, তালতলা ও যন্ত্রাইল সহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বিধিনিষেধ অমান্য করে বাইরে বেরা হওয়া ও দোকানপাট খোলা রাখা সহ বিভিন্ন অপরাধে ২৫ জনকে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অরুন কৃষ্ণ পাল ।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ