করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে বিনা কারণে বের হওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে ৫৯ জনকে অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। দোহারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ও নবাবগঞ্জে অরুন কৃষ্ণ পাল ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের অর্থদন্ড প্রদান করেন। নবাবগঞ্জ ৪৪ জনকে অর্থদন্ড ও একজনকে সাত দিনের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া ১৫ জনকে অর্থদন্ড দেয়া হয় দোহারে। অভিযানে দোহার ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই বৃষ্টি থাকায় অনেকটা ফাঁকা ছিল নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা সদর। তবে পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে সে তুলনায় ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি। কেউ কেউ বের হয়েছিলেন নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে। আর যারা লকডাউন দেখতে অকারণে বাড়ির বের হয়েছিলেন তাদের পড়তে হয়েছে আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেরার মুখে। গুনতে হয়েছে জরিমানাও। লকডাউন উপেক্ষা করে দোহারের বাহ্রা পদ্মা পাড়ে হাওয়া খেতে গিয়ে জরিমানা গুণতে হয়েছে বেশ কয়েকজকে।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবারও রাস্তায় রিকশা ও ইজিবাইক একেবারেই কম চোখে পড়েছে। জরিমানা ও মামলার ভয়ে মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট গাড়ির উপস্থিতিও ছিল কম।
দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ দোকানপাট ছিল বন্ধ। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের সাথে সমন্বয় রেখে সারাদিনই মাঠে দেখা গেছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে গেল ২৪ ঘন্টায় ঢাকার দোহারে করোনা সনাক্তের হার প্রায় ৭০ শতাংশ ও নবাবগঞ্জে প্রায় ৪০ শতাংশ। দোহারে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন ও নবাবগঞ্জে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন