করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ৭ দিনের জন্য ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাথে সকল জেলা ও উপজেলার নৌ ও স্থল পথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। এছাড়া দোহার ও নবাবগঞ্জের হাট-বাজার সহ সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিকেল ৫টার পর বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র। বুধবার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পরে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মমিন উদ্দিন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তগুলো জানান। সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তগুলো হলোঃ
(১) দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাথে অন্যান্য জেলা ও উপজেলা নৌ, স্থল পথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে।
(২) করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী হাসপাতালের বাহিরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করলে সেখানে লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে।
(৩) সকলের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে, উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
(৪) বিভিন্ন স্থানে হাত ধৌয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৫) খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরা সকাল ৬টার থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে।
(৬) জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
(৭) সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
(৮) অপ্রয়োজনীয় জনচলাচল সীমিত করতে হবে।
(৯) প্রচারের জন্য মাইকিং করতে হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানান দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজু বলেন, সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিকেল ৫টার পর বন্ধ থাকবে। করোনা সংক্রমণ রোধে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব ও ঢাকা জেলার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ক আলী নূর, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হোসেন মোঃ মঈনুল আহসান, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু, দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজু, দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল, নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ প্রমূখ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.