ঢাকার নবাবগঞ্জে মাত্র এক কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ প্রায় দেড় বছর ধরে ফেলে রাখায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী, পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের বান্দুরা ব্রিজ থেকে হাসনাবাদ জপমালা গির্জা পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার এলজিইডির সড়কটি সামান্য বৃষ্টি এলেই পানিতে তলিয়ে যায়। এতে প্রতিনিয়ত র্দুঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুতে মাত্র ১ কিলোমিটার সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। সংস্কারের জন্য সড়কটির দুইপাশে দেওয়া হয় ইটের গাথুনি। প্রথম দিকে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হলেও করোনা কারনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও পুনরায় কাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে সড়কটি আরো চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে ভাঙা স্থানগুলোতে ইটের খোঁয়া ফেলা হয়েছে। এদিকে দেড় বছরেও সংস্কার কাজ শেষ করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছে বান্দুরা ইউনিয়নের হাসনাবাদ সহ আশেপাশের বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী আরো জানান, হাসনাবাদসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে পুরাতন বান্দুরা বাজারে যাওয়ার একমাত্র পথ এটি। এছাড়া বান্দুরা থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলা দোহারে যেতে এটি সহজ পথ হওয়ায় প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন যাতায়াত করে সড়কটি দিয়ে। ভাঙাচূড়া সড়কটিতে সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যানবাহন উল্টে প্রতিনিয়ত ঘটে নানা রকম দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিনেও সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী এলাকার লোকজন। এছাড়া সড়কটির কারনে পুরাতন বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানা যায়।
অটোরিক্সা চালক ইয়ারব হোসেন বলেন, আরসিসি ঢালাই দেওয়ার জন্য রাস্তার দুই পাশে ইটের গাথুনি দেওয়া হয়েছিল। যা এখন আরো ভোগান্তি বাড়ছে পথযাত্রী ও যানবাহন চালকদের। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলবদ্ধবতা সৃষ্টি হয়।
পুরাতন বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ী আঃ রহিম বলেন, রাস্তাটির কারনে দূরের ক্রেতারা এখন আর বান্দুরায় কেনাকাটা করতে আসতে চায় না। তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
হাসনবাদ নিবাসী আন্তনী গমেজ বলেন, নবাবগঞ্জের সবচেয়ে খারাপ রাস্তা এটি। প্রতি রবিবার প্রার্থনার দিন গির্জায় আসতে বেগ পেতে হয় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনদের। বৃষ্টি এলে কাদার কারনে হেঁটে আসা যায় না গাড়িতে উঠলেও নরক যন্ত্রনা মনে হয় ।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তরুন কুমার বৈদ্য বলেন, এখন জুন ক্লোজিং সময়। আগামী জুলাই মাসের শুরুতে পূনরায় টেন্ডার আহবান করা হবে আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ হবে। বর্তমানে চলাচলে সুবিধার্থে মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন