1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

বান্দুরা হলিক্রশ ব্যাচ-০৪ এর ঈদ পুনর্মিলনী

রিপোর্টার:
  • আপডেট : সোমবার, ২৪ মে, ২০২১
  • ৭৯৯ বার দেখা হয়েছে

মেতে উঠি আনন্দে ফিরে যাই শৈশবে। এই মুলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বান্দুরা হলিক্রশ স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি-২০০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যস্ত জীবনে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা আজকাল তেমন হয়েই ওঠে না। ঠিক সেই কথা মাথায় রেখে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে যাতে একে অপরের দেখা হয়, ফেসবুকের মাধ্যমে সে সুযোগ সৃষ্টি করে দেন এসএসসি-০৪ ব্যাচের কয়েকজন বন্ধু। সকল ব্যস্ততাকে পিছনে ফেলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর একত্রিত হন বন্ধুরা।

এই দীর্ঘ ১৭ বছরে এসএসসি-০৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিভিন্নজন নানা পেশাায় চলে গেছেন। এদের মধ্যে কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ সাংবাদিক, কেউ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, কেউ শিক্ষক কিংবা ব্যবসায়ী। কেউ বা আবার প্রবাসী। কিন্ত বন্ধুত্বের বন্ধনে একসঙ্গে রব চিরজীবনে এ শ্লোগানে সবাই যেন এদিন একাকার হয়ে যান। পরিচয় সবার যেন একটা সেটা হলো আমরা স্কুল বন্ধু। দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকা বন্ধুরা একে অপরকে পেয়ে অনেকেই আবেগপ্লুত হয়ে পড়েন। খোঁজ নেন পরিবার-পরিজনের। অনেকের চেহারা চেনা চেনা লাগলেও পরিচয় জেনেই নিশ্চিই হন তিনিই সেই স্কুল বন্ধু।

দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে আত্মহারা সবাই। কেউ বন্ধুর গলা জড়িয়ে গল্প করছেন, কেউ বন্ধুকে পাশে নিয়ে সেলফি তুলছেন, অনেকে দলবেধে স্কুল জীবনের স্মৃর্তি মনে করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছেন। ক্ষণিকের জন্য সবাই নিজেদের ব্যস্ততা ভুলে বন্ধুত্বের ভুবনে চলে গিয়েছিল।

উৎসব পরিণত হয় মিলনমেলায়। সেই মিলনমেলা ঘিরে বন্ধুকে কাছে পাওয়ার আনন্দঘন মুহুর্তগুলো চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। বিকেল হতে আয়োজনস্থল বন্ধুদের পদভারে মুখর হয়ে ওঠে। ‘বন্ধু, কেমন আছিস, কী খবর বল? কুশল বিনিময় আর হৃদয়ের উষ্ণতার প্রাণের টানে স্কুলের সেই দিনগুলোয় ফিরে আসা। বন্ধুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রবাসে থাকা বন্ধুরাও ম্যাসেন্জারের কল্যাণে যুক্ত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

মিলন মেলায় অংশগ্রহণকারী আবু সাঈম ভালোবাসার টানে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব বলে চলে এসেছি। তাই নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমি সবাইকে বলব, বন্ধু শক্তি, বন্ধু প্রেরণা।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক অমিত সাহা বান্টি বলেন, মিলনমেলার মাধ্যমে কিছু বন্ধুবৎসল পাগলা একত্র হলাম। বারবার মনে হচ্ছিল আমরা স্কুলেই আছি। মন চায় আবার সেই স্কুল জীবনে ফিরে যাই। শিক্ষকদের শাসন, পড়া না পারলে বেতের বাড়ি, দুষ্টুমি, স্কুল পালানো, টিফিনের পর পালানো, সহপাঠির সঙ্গে খুনসুটি ইত্যাদি খুব মিস করি।

আরেক বন্ধু ডাঃ শফিকুল ইসলম মল্লিক বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে একত্র হওয়ায় এক মিলনমেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এই বন্ধুত্ব সারা জীবন বজায় থাকবে এমন প্রত্যাশা রহিল। বন্ধুদের সাথে দেখা করতে ব্যস্ততার মাঝেও চলে এসেছি।

ব্যাচ-০৪ এর বন্ধুরা হাসি-ঠাট্টার আনন্দের পাশাপাশি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সবার জন্য কাজ করবে যেখানে যেকোন ধরনের সহযোগিতা এবং গঠনমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি মাইলফলক তৈরি করবে বলে জানান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বন্ধুরা। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মিলনমেলার পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক কর্মকান্ডের অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ