মব সৃষ্টি করে ইউপি সদস্য হুমায়ন কবিরকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের শিলাকোঠা বাংলাবাজারে গত বৃহষ্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। নয়াবাড়ী এলাকার ওয়াসিমের ও শাওনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে মানববন্ধনে হুমায়নের স্ত্রী।
মানববন্ধনে ইউপি সদস্য হুমায়ন কবিরের স্বজনরা বলেন, কোনো মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই নয়াবাড়ী ইউনিয়নের শাওন এবং ওয়াসিম মোল্লাসহ কয়েকজন কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হুমায়ুন মোল্লা মেম্বারকে গত বৃহষ্পতিবার তুলে নিয়ে ঘরে আটকে নির্যাতন করে। পরে তারা পুলিশকে খবর দিয়ে থানায় ধরিয়ে দেয়।
ইউপি সদস্যের স্ত্রী রেখা আক্তার বলেন, শাওন আমার স্বামীকে দেখা করতে বলেছিল। দেখা না করাই কি তাঁর অপরাধ। শাওনের বাড়িতে তিন ঘন্টা আটকে রেখে তাঁর স্বামীকে নির্যাতন করা হয়। এরপর পুলিশ ডেকে তাঁদের হাতে তুলে দেয়। আমার স্বামী কোনো অপরাধ করলে পুলিশ তাঁকে ধরে নিবে। কিন্তু শাওন কিভাবে তাঁকে ধরে নিয়ে পুলিশে দেয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও স্বামীর মুক্তি দাবি করেন।
ইউপি সদস্যকে তুলে নেয়ার বিষয়ে মো. শাওন বলেন, তাঁকে ডেকে আনা হয়েছিলো। কেউ তুলে নেয়া বা অপহরণ করেনি। পরে পুলিশকে খবর দিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। হুমায়ন মোল্লা শাওনের বাবা বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টার হত্যার ঘটনায় জড়িত বলেও তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী বলেন, হুমায়ন কবিরকে বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টার হত্যা মামলার আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন