ঢাকার নবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সোমবার নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী।
আহত প্রবাসী শহিদুল ইসলাম উপজেলার দক্ষিণ চূড়াইনের আব্দুল লতিবের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তাভোগী শহিদুল ও উপজেলার ছাতিয়া গ্রামের লিংকন আহমেদ লোটাস একসাথে দুবাই কাজ করতেন। সম্প্রতি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনে সাথে লিংকনের একটি ছবি যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে লিংকন সন্দেহ করেন শহিদুলই ছবিটি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। শহিদুলের অভিযোগ এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি বন্ধুদের নিয়ে বাড়ৈখালি বাজারে যাওয়ার সময় খাহ্রা চূড়াইন আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সামনে তার উপর লিংকন সহযোগি নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন। ছিনিয়ে নেন হাতে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে উন্নত চিকিসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠায় চিকিৎসকরা।
এঘটনায় ছাতিয়া গ্রামের ফজল মেম্বারের ছেলে লিংকন আহদে লোটাস, একই এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে মো. মাসুদ, মোহনপুর গ্রামের মো. আবজালের ছেলে মো. মিঠু, নেহাল দেওয়ানের ছেলে মো. জিলু, আজিজুলের ছেলে নিলয় এবং দক্ষিণ চূড়াইনের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সৌরভ সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের নামে মামলা করেছে ভুক্তাভোগী শহিদুল ইসলাম।
এব্যাপারে অভিযুক্ত লিংকন আহমেদ লোটাস বলেন, শহিদুল আমার বন্ধু। ওকে কে বা কারা মেরেছি এব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমাদের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ দিল তাও বুঝতে পারছি না।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন