নবাবগঞ্জের সাংস্কৃতিক সংগঠন নবাবগঞ্জ ললিতকলা একাডেমি (নাফা)র আয়োজনে শরৎকালীন নাড়ু উৎসব প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চন্দ্রখোলা নাট মন্দিরে এ অনুষ্ঠান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম।
উৎসবে বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন এবং পুরস্কার জিতে নেন। নাড়ুর পরিচ্ছন্নতা, স্বাদ, ডেকোরেশন, রেসিপি বিশেষত্ব বিচার করে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় জনকে নির্বাচিত করা হয়।
দেশীয় শেফ, ফুড ব্লগার, নাড়ু তৈরি এক্সপার্ট বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন, ভারতীয় আন্তর্জাতিক শেফ প্রফেসর প্রিয়দর্শীনি দাস।
বাংলাদেশে নাড়ু উৎসবের প্রবর্তক, নাফার সাধারণ সম্পাদক সায়মা রহমান তুলি বলেন, আমাদের অঞ্চলে উৎসবমুখর দিনগুলিতে আমরা নাড়ু খেয়ে বাড়ি বাড়ি মিষ্টি মুখ করি। গ্রামের দক্ষ হাতের এই নাড়ুর রয়েছে নানা রেসিপি, নাফা বাংলাদেশের মাটির সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বের কাছে পৌছে দিতে চায় তার ই অংশ হিসেবে আমরা নাড়ু উৎসব শুরু করি। ব্যাপক সাড়া থাকে প্রতিবছর। ছোট ছোট বিষয়ে আনন্দ ও খুশিতে মেতে উঠা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং নাড়ু উৎসব এর মত অনুষ্ঠান স¤প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করে।
নাফার শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাড়ু উৎসব থিম ভিত্তিক ফ্যাশন শো, শরতের চিত্র প্রদর্শনী, সংগীত ও নৃত্য।
নাফার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লতিফা রহমান লতার সভাপতিত্বে ও সভাপতি শফিউর রহমান তোত ‘র সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের বিশেষ অতিথি ছিলেন কোকিলপ্যারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম, চন্দ্রখোলা কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার তালুকদার, চন্দ্রখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্যামল কুমার মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন