ঢাকার নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধ আনীত ছাত্রী হয়রানির অভিযোগকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ। তাদের অভিযোগ, মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন ও রাজনৈতিক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ঘটনার ৮ দিন পর ছাত্রীর মাতা শিল্পী বেগম প্রথমে সংবাদ সম্মেলন এবং পরে মামলা করেছেন। শুক্রবার আইডিয়াল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এই দাবি করেন। এ সময় তারা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী উল্লেখিত ঘটনার দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার সপক্ষে কিছু প্রমাণও উপস্থাপন করেন।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলেন, উল্লিখিত ঘটনার দিন (২৩ সেপ্টেম্বর) যে সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময় অধ্যক্ষ মো. আলী মাদ্রাসাতেই ছিলেন না।হাজিরা খাতায় অধ্যক্ষের স্বাক্ষর না থাকাও তাই প্রমান করে। তিনি তখন মাদরাসা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী পাশের দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১ আসনের এমপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন। তারা জানান, এই গণসংযোগের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচারিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার আমরা গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য আমাদের মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর মাতা মোসা. শিল্পী আমাদের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কুরুচীপূর্র্ণ, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর অভিযোগ এনে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।”
তারা প্রশ্ন তোলেন, ঘটনার দিন অভিযোগ না করে সরকারি একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কীভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হলো, তা তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
তারা আরো বলেন, উল্লিখিত মিথ্যা ঘটনার পরেও মাদ্রাসা খোলা ছিলো ছয় কার্যদিবস। এর মধ্যে এক দিন বাদে বাকি পাঁচ কার্যদিবস অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাশে এসেছে। এ সময় শিক্ষকদের সাথে অভিভাবকরাও প্রশ্ন তোলেন, যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটতো, তাহলে কি ওই শিক্ষার্থী নিয়মিত মাদ্রাসায় যেতো? সে কি এই ঘটনা তার কোনো বন্ধু বা শিক্ষক বা অভিভাবকের সাথে শেয়ার করতো না? তারা জোর দিয়ে বলেন, এটি একটি সুগভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী ও সাংবাদিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করেন, “এই জঘন্য মিথ্যাচারের ঘটনা তদন্ত করে সত্য উন্মোচিত করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, পরিচালক, শুভাকাঙ্খী এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন