প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর প্রথম বারের মত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীন নবাবগঞ্জের সোনাবাজু বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন। একই তিনি দোহারের কার্তিকপুরে পদ্মা নদী ও ইছামতির শাখা নদীর সংযোগস্থল পরিদর্শন করেন। বুধবার দুপুরে চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বেরিবাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী রুহুল আমীন বলেন, প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর তৃতীয় বারের মত এই বাঁধ পরিদর্শনে এসেছি। উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান এই নদী বাঁচাতে স্লইচগেট নির্মাণে খুবই পজিটিভ বার্তা দিয়েছে। আমরা আশাবাদী সকলের প্রচেষ্টায় স্লুইচগেটটি দাতা সংস্থাদের অর্থায়নে হয়ে যাবে। দাতা সংস্থাদের মধ্যে এডিপি কিছুদিনের মধ্য এই স্থানটি পরিদর্শনে আসবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। সেজন্য আমরা আশাবাদী হয়েছি।
খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ইছামতি নদীকে বাঁচাতে বেড়িবাঁধে পরিকল্পিত স্লুইচগেট নির্মাণের বিকল্প নেই। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের প্রতিনিধিরা স্লুইচগেটের ব্যাপারে শুধু মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমি এই এলাকার সন্তান হিসেবে স্লুইচগেটের ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করছি। এটি দীর্ঘ মেয়াদী একটি প্রকল্প তাই নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত এর কাজ হওয়ার সম্ভবনা নেই। বিএনপি আপনাদের পবিত্র ভোটে ক্ষমতায় এলে ইনশাল্লাহ বেড়িবাঁধের উপর পরিকল্পিত স্লুুইচগেট নির্মাণ করা হবে।
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি, সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম ও ইছামতি বাঁচাও আন্দোলন সহ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধে স্লুইচগেট নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। এর আগে ৩১শে আগস্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকতের নেতৃত্বাধীন চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বেরিবাঁধ পরিদর্শন করেন।
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, আমরা আশান্বিত দোহার ও নবাবগঞ্জে স্লুইচগেট হবে। আমাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও এব্যাপারে একমত। আজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীনের পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে কাজ অনেকটা এগিয়ে গেল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মোতাহার হোসেন, ঢাকা পানি উন্নয়ন সার্কেল-১, এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক, মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ ওমর, নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, মোঃ ফাহাদ হাসান, উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবু শফিক খন্দকার মাসুদ, নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, সেভ দ্যা সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্ট্রোম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ইছামতি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালিদ হোসেন সুমন, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি কাজী সোহেল।
মন্তব্য করুন