ঢাকার দোহারের আলোচিত অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিক শেখ শহীদ হত্যায় মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, বিলাসপুরের রমজান মোল্লার ছেলে মো. মানিক মোল্লা (৪২), আফছের খাঁর মেয়ে সিরুতাজ বেগম (৩৯), নারায়নপুরের মো. সোলেমান খানের ছেলে মো. সুমন খা (৩২), চরলটাখোলা এলাকার শেখ জনাব আলীর ছেলে মো. মাহবুব (৫০), দক্ষিন জয়পাড়া গাংপার এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ (৩৫), কার্তিকপুরের ইসমাইলের ছেলে রিক্সাচালক মো. আল আমিন (৪২), জয়পাড়া গাংপার এলাকার শেখ তোফাজ্জল এর ছেলে মো. মালেক (৫৭) ও রায়পাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে শাহ আলম (৩৬) ও চরলটাখোলার আলাউদ্দিনের ছেলে ভাংগাড়ি ব্যবসায়ী আল আমিন (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে এএসপি জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর সকালে নিজের গ্যারেজ থেকে শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় তার বড় ভাই শেখ সোরহাব বাদি হয়ে দোহার থানায় মামলা করলে তদন্তে নেমে সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৫ই জানুয়ারী দোহারের বিলাশপুর কুতুবপুর থেকে মানিক মোল্লা ও সিরুতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় মানিক মোল্লার কাছ থেকে জব্দ করা হয় নিহত শহীদের মোবাইল ফোন। গ্রেপ্তারকৃত সিরুতাজ বেগম বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিরুতাজ বেগমের তথ্য মতে ৭ জানুয়ারী ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে হত্যা ও দস্যুতা সংগঠনকারীর মূল হোতা সুমন খাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঐদিনই বিজ্ঞ আদালতে সুমন খাঁ ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিলে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোহারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহবুব, আমজাদ, মালেক, শাহ আলম, ভাংগারী ব্যবসায়ী আল আমিন, রিক্সাচালক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএসপি আরো জানান, এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি রিক্সা, ৮টি ব্যাটারী ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রেজাউল করিম ও ওসি তদন্ত মো. নুরুন্নবী ইসলাম।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.