ঢাকার দোহারের বুধবার সকালে নারিশা পদ্মা নদীতে খবির সরকার নামে এক জেলের জালে ধরা পড়ে একটি রাসেলস্ ভাইপার। ওই জেলে সাপটিকে না মেরে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। পরে খবর পেয়ে গবেষণার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে গেছেন স্নেক রেসকিউ টিম।
জানা যায়, জালে আটকে পরা একটি জীবিত রাসেলস্ ভাইপার সাপ নিয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হয় এক জেলে। সংবাদ পেয়ে উৎসুক লোকজন সাপটিকে দেখতে ভিড় করেন উপজেলা চত্তরে। পরে সাপটিকে সুরক্ষিত করে স্নেক রেসকিউ টিমের সাথে যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়ে দোহারে ছুটে আসেন স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্যরা। তারা জাল থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপদ ঝুঁড়িতে সাপটিকে স্থানান্তর করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সদস্য রকিবুলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সাপটি হস্তান্তর করেন।
এব্যাপারে খবির সরকার জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে চর এলাকায় তিনি জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। জাল টেনে ওঠানোর সময় দেখেন, একটি সাপ আটকা পড়েছে। পরে তিনি জীবিত সাপটি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে যান। এটি প্রায় ৪৫ ইঞ্চি লম্বা।
স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সদস্যরা জানান, উদ্ধারকৃত রাসেল ভাইপার সাপটি গবেষণার কাজে চট্টগ্রামত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে পাঠানো হবে।
এব্যাপারে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, সাপ নিয়ে আতঙ্ক নয়, সচেতন হতে হবে। আমরা সাপটিকে গবেষণার জন্য স্নেক রেসকিউ টিমের কাছে তুলে দিয়েছি। এটি এখন গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার সাপের গুরুত্ব রয়েছে। অতি কখন, অপপ্রচার ও আক্রান্ত রোগীর ভুল চিকিৎসার কারনে রাসেলস্ ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় তিনি সাপটিকে না মারার জন্য জেলেটিকে ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.