ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় মন্দিরে দায়িত্ব পালনে গিয়ে তীব্র গরমে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে মন্দিরের এক পুরোহিতের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাগমারা গ্রামের শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের আঙ্গীনায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহা।
নিহত নিতাই চক্রবর্তী (৭০) চাঁদপুরের মতলবের মোবারকদি গ্রামের মৃত পরেশ চক্রবর্তীর মেজো ছেলে। সে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাগমারা গ্রামে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ভাড়া বাসায় থেকে ওই মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের বড় ছেলে রনি চক্রবর্তী (৩৭) জানান, বাবা প্রতিদিনের ন্যায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থনা করে দুপুরের খাবার খেতে বাসায় আসে। বাসায় এসে স্নান করে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে মন্দিরের দায়িত্ব পালন করতে মন্দিরে যায়। মন্দিরের যাবার পরপরই তীব্র গরমে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বমি হয় ও নাক-মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হলে সে পড়ে গিয়ে মারা যায়।
নিহতের স্ত্রী রিনা রানী চক্রবর্তী বলেন,আমার স্বামীর শেষ ইচ্ছা ছিল তাকে যেনো এ মন্দিরের মহাশ্মশানে দাহ করে তার সমাধি করা হয়। তার ইচ্ছা অনুযায়ী সেখানেই তার শেষ কির্ত্তন সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।
মন্দিরের পুরোহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বাগমারা শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহা বলেন, ১৯৯৬ সালে নিতাই চক্রবর্তী আমাদের মন্দিরের পুরোহিত হিসেবে যোগদান করে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। হঠাৎ তার এমন মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বাগমারা শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রবীর সাহা বলেন, নিতাই চক্রবর্তী একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ তিনি আমাদের মন্দিরে পুরোহিত হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। হঠাৎ তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। তার এমন মৃত্যুতে মন্দিরের কমিটির সকল সদস্যবৃন্দসহ এলাকাবাসী গভীরভাবে শোকাহত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.