ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় নববর্ষের (পহেলা বৈশাখ) দিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে কেরানীগঞ্জে ঘুরতে এসে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর করা মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির।
তিনি জানান, চাকরিজীবী ওই তরুণী (১৯) নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখের দিন দুই সহকর্মী বন্ধু সিজান ও রিজভীকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় মধুসিটি হাউজিংয়ে ঘুরতে আসেন। হাউজিংয়ের ভিতরে ফাঁকা জায়গায় বসে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা ওই তরুণী ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাদের টানাহেঁচড়া করে হাউজিংয়ের আরও ভিতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সিজান ও রিজভীকে বেদম মারধর করে আটকে রাখে।
এরপর আসামিরা ওই তরুণীকে জোরপূর্বক হাউজিংয়ের উত্তর-দক্ষিণমুখী রাস্তার পূর্ব-পশ্চিম রোডের খালের উত্তর পাশে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ঘটনা কাউকে জানালে ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল (সোমবার) ভিকটিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চৌকস একটি টিম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। ঘটনার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কেরানীগঞ্জ ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ওই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মো. রাহাত (১৮), মো. সোহাগ আলম (২০), শহিদুল ইসলাম (২১), মিলন (২৩) ও মো. মাসুমকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার অপরাধী। তারা প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.