ঢাকার দোহার থানায় জমির নামজারী কাগজপত্র হারিয়েছে জানিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি জিডি করেন শেখ শাহীন। জিডিতে উল্লেখ্য করা হয় গত ২৮ জানুয়ারি দোহারে খাড়াকান্দা এলাকা থেকে তার নামজারীর ডকুমেন্ট হারিয়ে গেছে। তবে শাহীনের দাবি তিনি জিডির ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
শেখ শাহিন দোহার উপজেলার দোহার ঘাটা এলাকার শেখ উমেদ আলীর পুত্র। তিনি ব্যবসার জন্য এখন চট্টগ্রামের খুলশির সিডিএ পুনর্বাসন এলাকায় থাকেন।
শেখ শাহীন জানান, আমি ব্যবসার কারনে চট্টগ্রাম থাকি। একটি চক্র আমার আইডি কার্ড ব্যবহার করে ২৯ জানুয়ারি দোহার থানায় জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ্য করেন আমার ঘাটার জমির নামজারি হারিয়ে গেছে। জিডিতে তারা আমার মোবাইল নম্বর লিখে দেন ০১৭৮৫৭৩২৩০৫। আবার জরুরি যোগাযোগের জন্য আ. জলিলের নাম লিখে সেখানেও একই নম্বর ব্যবহার করেন। অথচ এ জিডির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার কাগজপত্র হারায়নি। শুধু তাই নয়, চক্রটি ঐ জিডির কপি দিয়ে এসিল্যান্ড বরাবর আমার নামজারী নকল পর্চার জন্য আমার সাইন নকল করে আবেদনও করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার সম্পত্তি আতœসাতের করার জন্য আমার ভাই লিটন, লিটনের স্ত্রী সোহাগী বেগম, লিটনের সমন্ধি রফিক ও আমার আরেক ভাই ইকবালের বুদ্ধিকে জলিল নাম ব্যবহার করে জিডি করেছেন আবার পর্চা উঠানোর জন্য আবেদন দিয়েছেন। ওদের জালিয়াতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব আমি।
এব্যাপারে আ. জলিলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে রং নম্বর বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা দোহার থানার এএআই আলীমুজ্জামান সরদার বলেন, জিডি এখন অনলাইনে করা হয়েছে, তবে কিভাবে করা হলো আমি বুঝতে পারছি না। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.