ঢাকার দোহারের শাইনপুকুর বড় বাড়ির মাঠে শনিবার হয়ে গেলো স্নেহ স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট এর ফাইনাল খেলা। শাইনপুকুর প্রগতি সংঘের আয়োজনে ও উদয়ন পরিবারের পরিচালনায় ফাইনাল খেলায় মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুল আব্দুল হক স্মৃতি সংসদকে ২-১ গোলে হারিয়ে জয় পায় দোহারের মুকসুদপুর ফুটবল একাদশ।
খেলার শুরু থেকে আক্রমন আর পাল্টা আক্রমনের মধ্যেদিয়ে চলতে থাকে দুই দলের খেলা। তবে প্রথমার্ধে কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। খেলার দ্বিতিয়ার্ধে মুকসুদপুর ফুটবল একাদশের বিদেশী খেলোয়ার বাহ্ এর গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় দল। তার কিছুক্ষনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুলের আব্দুল হক স্মৃতি সংসদের খেলোয়ার জাহিদের গোলে সমতায় ফিরে ভাগ্যকুল। খেলার শেষ দিকে মুকসুদপুরের আইভরিকোস্টের বিদেশী খেলোয়ার কামারার গোলে ২-১ এগিয়ে যায় মুকসুদপুর ফুটবল একাদশ। এরপর আর গোল না হওয়ায় ২-১ গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন হয় দোহারের মুকসুদপুর ফুটবল একাদশ। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন চ্যাম্পিয়ন দলের বিদেশী খেলোয়ার বাহ্।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ ছায়াদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আলমগীর হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দোহার পৌর মেয়র আলমাছ উদ্দিন, সাইনপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ হোসেন নিটোল, সাউথ জার্সি মেট্রো আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা সাব্বির হোসেন ভূইয়া, মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ হান্নান, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোয়েম আহমেদ, দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন সদ্দার, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সোহাগ, সমাজ সেবক মো. শহীদ খান, বাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আল নাসের তানজিল।
অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটিতে ছিলেন আরমানুর রহমান রিপন ভূঁইয়া, মো. আনোয়ার হোসেন খান, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, মো. আসাদুজ্জামান, গোলাম কিবরিয়া কালাম ভূঁইয়া, ইঞ্জি. জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল করিম নয়ন, অধ্যাপক সেলিম, ফরহাদ হোসেন খালাসি, শহীদুল ইসলাম খান, মাসুদ রানা রুবেল, ফিরোজ মোল্লা, বাবুল হোসেন জলিল, ফারুক মোল্লা, হযরত আলী ব্যাপারী, রুবেল চোকদার, রিপন মাস্টার, আলাল চোকদার, নাহিদ ভূঁইয়া, ফারুক হোসেন, শাহ আলম, মো. রাকিব, বাদল মাহমুদ, মিলন, অজিত কুমার দাস ও আশিক।
খেলায় ধারাবর্ণনায় ছিলেন আকাশ ও হাবিব আব্রাহাম।
ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি ও ১ লক্ষ টাকা এবং রানার আপ দলকে ট্রফি ও ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। টুর্ণামেন্টে মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.