ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাহ্রা ইউনিয়নের পারিবারিক রাস্তার দ্বন্দ্বে জোরপূর্বক বাড়ির দেওয়াল ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে বাঁধা দিতে গেলে সংঘর্ষে নারীসহ ৩ জন আহত হয়। মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাহ্রা পশ্চিমপাড় আলমাছের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে প্রতিপক্ষের ১জনকে আটক করেছে পুলিশ । এ ঘটনায় ঐদিন রাতে ভুক্তাভোগী আলমাছ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার বাহ্রা পশ্চিমপাড় গ্রামের আলমাছের স্ত্রী জাহানারা (৫০) , আনিসের স্ত্রী হেনা (৪৫) ও ছেলে রাহাত। আটককৃত আলম (৬৫) ওই গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে।
আলমাছ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ আলম গংরা আমার বাড়ির উপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক চলাচলের রাস্তা বের করার পায়তারা করছিল। তারা ভয়ানক প্রকৃতির লোক বাঁধা দিলে মারধর করতে আসে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকেও তারা মানে না।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে ৫/৭ জন আমার বাড়ির দেওয়াল ভাঙচুর চালায়। শব্দ পেয়ে আমরা বাড়ির লোক বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয় এবং এলোপাথারী মারধর করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং শাবল দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার স্ত্রী জাহানারা, ভাইয়ের স্ত্রী হেনা ও ছেলে রাহাত মারাত্মক আহত হয়। পরে তাদের নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হেনা ও জাহানারার অবস্থা গুরুত্বর দেখে তাদের ঢাকা বারডেম হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং রাহাতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
অভিযুক্তের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগম ও ছোট বোন লাকী আক্তার বলেন, আমাদের চলাচলের জন্য অন্য কোন রাস্তা নাই। আলমাছ গংরা রাস্তা আটকিয়ে ঘর নির্মাণ করছে। তারা ঘর নির্মাণ করলে আমাদের আর বের হওয়ার কোন জায়গা থাকবেনা। সামাজিকভাবে অনেক বিচার সালিশ হয়েছে তারা মানে না। এ জন্য দেওয়াল ভাঙ্গছে।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোহেল মোল্লা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.