প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা ১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান রহমান বিএনপি উদ্দেশ্যে বলেন, এখনো সময় আছে আন্দোলনে নামে অরাজকতা সৃষ্টি না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে কে এলো, না এলো সেটা মুখ্য বিষয় নয়। জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার সকালে জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কৃষক সমাবেশ ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যেন ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় বর্তমান সরকারের লক্ষ্যে কাজ করছেন। যে দেশের কৃষক যত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে তারা তত বেশি উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজ দেশে খাদ্য অভাব দূর হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে কৃষকদের যেমন ভূমিকা ছিল ঠিক বর্তমান দেশ পূর্ণ গঠনে জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কৃষকরাও বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই কৃষকদেরকে সার্বিক কল্যাণে এবং কৃষি কাজে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ভর্তুকি, উন্নত সার বীজ কীটনাশক ঔষধ ও ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার।

সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ৭৫ এর কালো রাত্রির পর আমরা যখন বিদেশে যেতাম তখন তারা আমাদের ভিক্ষুকের দেশ বলে চিনতো। ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশকে একটা ভিক্ষুকের দেশ, মিসকিনের দেশ পরিচয় দিতে তারা গর্ববোধ করতো। কেননা তাতে তারা আন্তজার্তিকভাবে ভিক্ষা পেত। আবার সেই ভিক্ষা থেকে তারা চুরিও করতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ক্ষমতায় আসার পরে আজকে আপনারা সবাই জানেন দেশটা কোথায় চলে গেছে। এখন যখন আমরা বিদেশে যাই, তখন তারা আমাদের গরিব, ভিক্ষুক ,মিসকিন বলে না। উল্টো তারা জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী কি যাদু করেছেন যে আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন না হলে এখনো আমরা পাকিস্তানিদের গোলাম থাকতাম। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংসদে বলেছিলেন, ওনার ইচ্ছা পাকিস্তানকে ওনি সুইডেনের মত দেশ গড়ে তুলতে চান। ঐদিন রাতে পাকিস্তানের এক সাংবাদিক তাকে বলেছিলেন, পাকিস্তানকে সুইডেন করার দরকার নেই, ইমরান খান যদি পাকিস্তানকে বাংলাদেশ করতে পারে তাতেই আমরা খুশি। এখন পাকিস্তানের মানুষ আমাদের অনুসরণ করে। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়। স্বাধীনতার কারনেই আমরা এমন সাফল্য পেয়েছি।

এরআগে দোহার উপজেলার সুতারপাড়া মধুরচরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুইটি সেতু উদ্বোধন করেন সালমান এফ রহমান। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক কাটেন এবং লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্তরে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সালমান এফ রহমান। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াাহিদা আক্তার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডক্টর দেবাশীষ সরকার, বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোবাশ্বের আলম, দোহার পৌরসভার মেয়র আলমাছ উদ্দিন, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল হক বেপারী, ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, দোহার সার্কেল এর এএসপি আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনার কলি পুতুল, ঢাকা জেলা অওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদ সুরুজ আলম সুরুজ, দোহার পৌরসভা আওয়াামীলীগের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সুরুজ, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার মাঝি, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজ্জব আলী মোল্লা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ।

পরে বিকেলে নবাবগঞ্জের কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান র্ভূঁইয়া কিসমত , নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান ও কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান।