1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জের সুকুরকে ৩০ হাজার টাকার জন্য খুন করে ছিনতাইকারীরা

বিশেষ প্রতিনিধি.
  • আপডেট : সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৪৭২ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় মাদকের টাকার জন্য সবজি ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ইমন (২৫), রুবেল (৩২), দীপু (২২), মন্টু (২০), হানিফ (২৮)।

পহেলা অক্টোবর (রোববার) সকালে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা খালপাড়ের গদু মাস্তানের মাজারের সামনের সড়কে ধাঁরালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলার চর মধুচরিয়া গ্রামের শেখ ওয়াজউদ্দিনের ছেলে সবজি ব্যবসায়ী মোঃ সুকুর (৪২)।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রদন তৈরি করে ময়নাতদন্তে স্যার সলিমুল্লাহ্ কেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে এ ঘটনায় সুকুরের পিতা য়োজউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, গত ১লা অক্টোবর (রোববার) ভোরে সবজি ব্যবসায়ীর সুকুর সবজি কেনার জন্য সিরাজদিখানের পাউসার গ্রাম হতে ঢাকার শ্যামবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার আমবাগিচা খালপাড়ের গদু মাস্তানের মাজারের সামনে পৌছালে ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুকুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে রাস্তার উপর ফেলে যায়।

পুলিশের একটি বিশেষ টিম হত্যাকান্ডের তদন্ত ঘটনাস্থল ও এর আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম প্রয়োগ করে কেরাণীগঞ্জ, ডিএমপি ও রাজশাহীতে অভিযান পরিচালনা করে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ওই ৫ আাসমিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে এই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইসগিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ইমনের হেফাজত হতে নিহত সুকুরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারা সবাই মাদকাসক্ত এবং পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাই করা টাকা দিয়ে তারা মাদক সেবন করে থাকে। ঘটনার দিন মাদকের টাকা জোগার করার উদ্দেশ্যে আসামিরা সারারাত ছিনতাই করার জন্য টার্গেট খুজঁছিলো। কিন্তু সারারাত তারা কোন সহজ টার্গেট খুজে পায়নি। এক পর্যায়ে ভোর বেলায় তারা বেশ উগ্র হয়ে যায়।

এমন সময় সবজি ব্যবসায়ী সুকুর রিক্সায় করে সবজি কেনার উদ্দেশ্যে আমবাগিচা খালপাড় রাস্তা দিয়ে ঢাকার শ্যামবাজার সবজির আড়তে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ইমন ও রুবেল সুকুরের রিক্সার গতিরোধ করে। রুবেল রিক্সা আটকে রাখে এবং ইমন সবজি ব্যবসায়ী সুকুরকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। এসময় দিপু, মন্টু ও হানিফ রাস্তা পাহারা দিচ্ছিল যাতে কোন লোক দেখে না ফেলে। ছিনতাইয়ের পর ইমন ও রুবেল সবজি ব্যবসায়ী সুকুরের কাছে ৩০ হাজার টাকা পায় যা দিয়ে তার সবাই মিলে মাদক সেবন করে।

এ মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ