ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোববার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে র্যাব-১০ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
গ্রেপ্তার তাজুল ইসলাম তানু (৩৫) কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মূল পরিকল্পনাকারী। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় করা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সে।
সংবাদ সম্মলনে র্যাব-১০ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে ওই ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে হাসনাবাদ এলাকার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আতিক উল্লাহ। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে পরের দিন আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এরপর থানা থেকে সংবাদ পেয়ে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে কোন্ডা ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে আগুনে পোড়া বিকৃত অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পায়। এটিএম কার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্র দেখে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন এবং সে বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ গুলজার ও তানুসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামি তাজুল ইসলাম তানু, মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, শিহাব আহমেদ শিবু, আহসানুল কবির ইমন, মো. আসিফ, গুলজার, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিনকে এই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেন।
আসামিদের মধ্য তানু, শিহাব, আসিফ ও টুন্ডা আমিন পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন। ইতোপূর্বে অন্যান্য আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী তানু দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.