ঢাকার নবাবগঞ্জে প্রেমিকের সাথে অভিমান করে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন প্রেমিকা। আহত প্রেমিকা রাত্রী (১৮) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। প্রেমিক মো. শরীফ (২২) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জের নতুন বান্দুরা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহত রাত্রী নতুন বান্দুরা মো. রহিমের মেয়ে এবং শরীফ দোহার উপজেলার করিমগঞ্জের মো. সিরাজের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে ৯ টার দিকে নিজের গায়ে কেরাসিন ঢেকে আগুন দেয় রাত্রী৷ তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আগুন নিভানোর আগেই দ্বগ্ধ হন রাত্রী৷ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেন। এসময় প্রেমিকাকে দেখতে এলে প্রেমিক শরীফকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে শরীফকে নিজেদের হেফাজতে নেন।
প্রেমিক শরীফ জানান, রাত্রীর সাথে তার এক বছরের সম্পর্ক। শুক্রবার রাত্রী তাকে না জানিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল৷ এনিয়ে তিনি রাত্রীর সাথে রাগারাগী করেন। এতে অভিমান করে রাত্রী তার মোবাইলে কল দিয়ে জানান এখনই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবে। মোবাইলে কথা বলতে বলতেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন রাত্রী৷ তার চিৎকার শুনে আমি দোহার থেকে বান্দুরা চলে আসি। এসে দেখি রাত্রী আগুন দ্বগ্ধ হয়ে গেছেন।
রাত্রীর ভাই আল আমিন বলেন, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ঈদের পরই ওদের বিয়ে হওয়ার কথা চলছিল। কি কারনে বোন আমার শরীরে আগুন দিল বুঝতে পারছি না। আগে বোনের চিকিৎসা করাই তারপর দেখা যাবে কি করা যায়।
শরীফের মা শরুফা বেগম বলেন, ঈদের পরই ওদের দুজনের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলাম৷ সন্ধ্যায় একসাথে শরীফ আমার সাথে ইফতারি করেছে৷ কি নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে আমরা বলতে পারি না। আমার ছেলে অন্যায় করলে তো আর খবর শুনে ছুটে আসতো না।
নবাবগঞ্জ থানার এএসআই ইসমাইল বলেন, ছেলেটাকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওসি স্যার ও ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.