ঢাকার নবাবগঞ্জের হেলাল মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আটক এজাহারভূক্ত দুই আসামি পলাশ রাজবংশী ও শ্যামল রাজবংশী। রবিবার ভোরে হেলালের লাশ উদ্ধারের পর এঘটনার জড়িত সন্দেহে উপজেলার কোমরগঞ্জের পলাশ রাজবংশী, আন্ধারকোঠর শ্যামল রাজবংশী ও ছোট রাজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে সোমবার আদালতের হাজির করা হলে জবানবন্দী শেষে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। মৃত হেলাল ছোট রাজপাড়া এলাকার মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত রোববার ভোরে হেলাল মিয়ার মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের কার্যক্রম শেষে মরদেহ মৃত হেলাল এর স্বজনদের কাছে রাতে হস্তান্তর করে।
মৃত হেলাল এর ছেলে আসিফ ও মেয়ে রুপার দাবী তার বাবাকে পরিকল্পিত খুন করা হয়েছে। তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করে বলেন এ ঘটনায় জড়িত কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে যেতে না পারে এ জন্য আমরা পুলিশে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয়রা জানায়, মৃত হেলাল মিয়া এক সময় গাড়ীর বডি পেইন্টার হিসেবে কাজ করতেন। বেশ কয়েক বছর হলো তিনি ওই ছেড়ে দেন। পরে নদী, খাল ও পুকুরে মাছ ধরতেন। শনিবার রাতে মাছ ধরতে গেলে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। সকালে ছোট রাজপাড়া এলাকার আজহারের পুকুর পাড়ে তার মৃত দেহ দেখতে পায় স্থানীয় জনসাধারণ। এসময় গামছা দিয়ে হাত পা ও মুখ বাধা ছিলো বলে জানায় তারা। এছাড়া মৃত হেলালেল শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিলো বলে জানায় তারা। তাদের দাবী রাতে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, এ হত্যার সাথে জড়িত ৩ জনকে অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষনিক আটক করা হয়। পুলিশ এ বিষয়ে তাদের সকল ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সোমবার আদালতে দুই আসামী হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.