ঢাকার নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের কুমারবাড়িল্যা এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি জোড়পূর্বক দখল করে সরকারি রাস্তা নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তাভোগী স্থানীয় বাসিন্দা মো. পিয়াসের অভিযোগ তার প্রতিবেশি নিলুফা আক্তার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যোগসাজসে তাদের ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল করে রাস্তাটি নির্মাণে চেষ্টা করছেন। এর প্রতিকার চেয়ে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। তবে কোন সুরাহা না হওয়ার পরে নবাবগঞ্জ থানায় জিডি ও পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে কোর্টে পিটিশন মামলা করেছেন তিনি।
পিয়াস অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিবেশি নিলুফা আক্তার নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আতাহার এর যোগসাজসে তার বসতবাড়ির উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে মেম্বার ও কয়েকজন নেতা জোরপূর্বক আমার জমিতে বালু ফেলেছে রাস্তার করার জন্য। আমার একটি খামার রয়েছে সেটা ভাঙার চেষ্টাও করেছে তারা। তাছাড়া বসত বাড়ির পাকা বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে রাস্তাটি নিমার্ণের করার পায়তারা করছে তারা। অথচ আমার নিলুফার বাড়ির উভয় পাশেই পিচ ঢালাই রাস্তা রয়েছে। তারপরও রাস্তাটি কেন প্রয়োজন আমার বোধগম্য নয়। সরকারি টাকা করে অপ্রয়োজনীয় এই রাস্তাটি নির্মাণ করলে আমি ও আমার প্রতিবেশি মো. জলিল ও রায়হাব ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমি এব্যাপারে গত ৫ মার্চ নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। ইউএনও বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এরপর ৬ মার্চ আমি নবাবগঞ্জ থানায় নিলুফা ও মুন্নি আক্তারের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেছিলাম। এরপরও সুরাহা না পাওয়ায় ২২ মার্চ আমি নিরুপায় হয়ে কোর্টে পিটিশন মামলা করেছি। আমার জমি দখল করতেই আতাহার মেম্বার ও স্থানীয় কিছু নেতাদের নিয়ে নিলুফা এমন কর্মকান্ড করছে।
আরেক ভুক্তাভোগী জলিল বলেন, আমার পাশেই পিচ ঢালাই রাস্তা। এই রাস্তার কোন প্রয়োজন নেই। আমি বাধা দিয়েছিলাম ওরা মানে না। জোড়জুলুম করে বালু ফেলতাছে। ভুক্তাভোগী মো. রায়হান বলেন, আমার বাড়ির সামনে ও পিছনে রোড আছে। অথচ মেম্বার জোড় করে আমার জমি দখল করে রাস্তাটি নিচ্ছে। এই রাস্তাটি দিয়ে কোন মানুষ চলবে এটাই তো আমি বুঝি না?
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেখানে রাস্তা করা দরকার সেখানে করে না। অথচ সরকারি অর্থ অপচয় করে অপ্রয়োজনীয় এ রাস্তাটি নির্মাণ করছেন স্থানীয় মেম্বার। এর সাথে ক্ষমতাশীল দলের কয়েকজন নেতা জড়িত। তাই সাধারণ মানুষ কিছু করতে বা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
এব্যাপারে অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আতাহার বলেন, আমি প্রকল্পটির সভাপতি, তবে কত টাকার প্রকল্প বা রাস্তাটির ব্যাপারে আমি বিস্তারিত জানি না। সব দেখাশুনা করেন চেয়ারম্যান। রাস্তাটি দরকার তাই করা হচ্ছে, তবে কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা হচ্ছে না। আমি রাস্তাটির ব্যাপারে সেভাবে জড়িত নয়।
বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম এ বারী বাবুল মোল্লা বলেন, রাস্তাটি ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তির উপর দিয়ে করা হচ্ছে আমি শুনেছি। সরজমিনে গিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। তবে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আমি ব্যাপারটা দেখব।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.