কৃষক দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে শস্য ফলায়। আবার সেই শস্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাদ্য উপযোগী করে। জীবীকার তাগিদে, অন্যদের আহারের ব্যবস্থা করতে কি কষ্টটাই না করে এই কৃষক। দেশে বজ্রপাতে যত মানুষ মারা যায় এর মধ্যে ৭০ ভাগই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত কৃষক শ্রেণী। দেশকে খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তি এই কৃষকদের বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ফসলের মাঠ দিনব্যাপী সচেতনতা মূলক এক কর্মসূচি পালন করে সামাজিক সংগঠন সেফ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ)।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কৃষকদের মাঝে এই সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করে। মাঠে কৃষি কাজ করতে আসা শতাধিক কৃষককে বজ্রপাত কি, কখন বজ্রপাত হয়, কিভাবে বজ্রপাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়, এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনা শেষে তারা নিজেরা বজ্রপাত সম্পকে যেসব বিষয়ে জানতে পেরেছে, সেসব বিষয়ে অন্যদেরকেও জানানোর আশ্বাস দেন। পরে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের কাছে পুনরায় দুই দফা দাবি পেশ করে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের কর্ণধার রাশিম মোল্লা। দাবি দুটি হলো- ১. মাঠে মাঠে বজ্র নিরোধক টাওয়ার স্থাপন। ২. বজ্রপাতে কোনো কৃষক মারা গেলে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ সহায়তা হিসেবে দুই লাখ টাকা প্রদান করতে হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.