পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিখোঁজ আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার দোহার ও ফরিদপুরের পদ্মার সীমান্তবর্তী ঝাউকান্দা এলাকায় এ লাশ দুটি পাওয়া যায় বলে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. মর্তুজা ফকির ও দোহার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা তামিম হাওলাদার জানান।
এরা হলেন ফরিদপুরের কানাইপুর গ্রামের কাশেম মৃধার ছেলে দাউদ মৃধা (৪০) ও চরভদ্রাসনের চর তেলিডাঙ্গী গ্রামের কুদ্দুস খন্দকারের ছেলে রানা খন্দকার (৪০)।
দোহার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্নকর্তা তামিম হাওলাদার জানান, তাদের যে ডুবুরি দল ঢাকা থেকে এসেছে তারা দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে। তাদের কাছে তথ্য আছে আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। তাই তারা আগামীকাল সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন।
গত রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়।
ঘটনাস্থলে স্পিডবোটের এক যাত্রী সুকুমার হালদার (৬৫) নিহত হন। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা শিশির হালদারের ছেলে।
একই সময় আহত হন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ভাংগিরচর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মতিউর রহমান।
দোহার নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম জানান, চর ভদ্রাসন থানার উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. মর্তুজা ফকিরের উপস্থিতিতে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দলের দল প্রধান মো. হান্নান বলেন, তৃতীয় দফার শেষ পর্যায়ে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ২০০ মিটার দূরে পানির নিচে মৃতদেহ দুটি পাওয়া যায়।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা কবির বলেন, মৃতদেহ দুটি পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে বুধবার সকাল ৯টা থেকে ডুবুরি দল আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করবে।
চরভদ্রাসন থানার ওসি মিন্টু মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় সিএন্ডবি ঘাট নৌপুলিশের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে রোববার রাতে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.