ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বান্দুরা হলিক্রশ হাই স্কুল-৭৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বান্দুরা হলিক্রশ স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
‘সুবর্ণ জয়ন্তীর আহবানে, এসো মিলি প্রাণের স্পন্দনে, তোমার আমার শিকড় যেখানে,,’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৭৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা একত্রি হয়েছিল তাদের শিকড় বান্দুরা হলিক্রশ হাই স্কুলে। স্কুল জীবনের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের একসঙ্গে একটি দিনের জন্য ফিরে পাওয়ার এমন দিনে ব্যাচের উপস্থিত সব সদস্যের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর স্কুল জীবনের বন্ধুদের কাছে পেয়ে আনন্দের সীমা ছিল না তাদের মাঝে। অনুষ্ঠানের আগের যাবতীয় কাজ সম্পাদনে নানা হইহল্লার মাঝে ছিল এক অকল্পনীয় আনন্দ। সবার পরিশ্রম ও প্রতীক্ষার প্রহর শেষে যখন স্বপ্নের এ দিনটি আসে, আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় সবার মনে। তাদের কাছে দিনটি ছিল অন্য সব দিনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অনেকে নিয়ে এসেছিলেন তাদের পরিবার পরিজনকে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। ৭৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী ও সাবেক কয়েকজন শিক্ষক এবং অতিথি আসার পরে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে দুটি ভাগে পুরো আয়োজনকে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে ছিল শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর দ্বিতীয় পর্বে চলে নানা আয়োজন। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বের করা হয় ‘সুবর্ণ জয়ন্তী স্মরণিকা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ব্রাদার প্রদীপ এল রোজারিও, সাবেক এমপি খন্দকার হারুন অর রশিদ, ৭৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ওসমান গ্রæপের কর্ণধার আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, ফাদার সুব্রত বি টলেন্টিনু, সিকদার আনোয়ার হোসেন, ভিনসেন্ট রিবেরু, বান্দুরা হলিক্রশ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার তরেণ যোসেফ পালমাসহ আরো অনেকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.