ঢাকার দোহার উপজেলার দক্ষিণ জয়পাড়া বড় মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মনির হোসেন ও সানী নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই দুই পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিয়ে মামলা ঝামেলা থেকে রেহাই পেলেন ভবনের মালিক প্রবাসী মুছা আব্দুল্লাহ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বেশ কিছু মানুষের উপস্থিতিতে নিহত দুই পরিবার ও ভবন মালিকের পক্ষ থেকে সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরমধ্যে দুই পরিবারকে নগদ ৫ লাখ টাকা আর চেকের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
পরে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় নিজ নিজ গ্রামে জানাজা শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে নিহত মনিরের বাবা মো. আরশেদ জানান, তারা কোনো মামলায় যাবেন না। সন্তানকে কাটা-ছেঁড়া করতে দেবেন না। যে কারণেই মীমাংসা করে ঝামেলা এড়িয়ে গেছেন।
তবে ওই ভবনে আমাদের প্রতিবেদক গেলে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি বাড়ির লোকজন।
এছাড়া ভবনের রং কন্টাক নেওয়া ঠিকাদার শাহজাহানও রয়েছে অনেকটা নিরবে। তার সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, তিনি নিহত দুই যুবককে বাধ্য করেছিলেন ভবনে কাজ করতে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দোহার পৌর মেয়র মু আলমাছ উদ্দিন নিহত দুই যুবকের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। বাড়িটি নিমার্ণে পৌরসভার অনুমোদন আছে কিনা সেটা দেখবো। কোন অনুমোদন না থাকলে আইনগত যা ব্যবস্থা সেটা নিবেন তিনি।
এর আগে বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় স্থানীয় যুবক রঙ মিস্ত্রি মনির ও সানী নির্মাণাধীন ভবনের রাস্তাসংলগ্ন স্থানে রঙয়ের কাজ করছিলেন। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই যুবক দুই তলা ভবনের ওপর থেকে নিচে পড়ে যান। স্থানীয় ব্যক্তিরা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার বলছে, এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কেনো তাদের দিয়ে রঙয়ের কাজ করানো হলো? তাই রঙয়ের কাজের ঠিকাদার ও বাড়ির মালিকের শাস্তি দাবি করলেও একদিনের ব্যবধানে বক্তব্য পাল্টে সমঝোতায় রূপ নেয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.