1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে নৌকা তৈরির ধুম

সিনিয়র প্রতিবেদক:
  • আপডেট : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২
  • ৩১৪ বার দেখা হয়েছে
??????

হালকা পাতলা বৃষ্টি জানাচ্ছে বর্ষার আগমনী বার্তা। এতে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নৌকার কারিগর ও কাঠ ব্যাবসায়ীরা। নতুন নৌকা তৈরি যেনো ধুম পড়েছে। আবার অনেকেই পুরাতন নৌকা মেরামত ব্যস্ত।

বর্ষায় নিচু অঞ্চলের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। চারদিকে বর্ষায় যখন রাস্তাঘাট তলিয়ে যায় তখন নৌকা ছাড়া কোনো ভাবেই পারাপার হওয়া যায় না। তাই জৈষ্ঠ্যের শুরু থেকেই বিভিন্ন গ্রামে নৌকা তৈরি করতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার কলা গাছের ভেলা তৈরি করে বর্ষাকালীন সময় পারাপারে কাজটুকু চালিয়ে নিচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্যাবহার করা যায় না বলে এই ভেলার গুরুত্ব অনেক কম।

শুরু হয়েছে বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্ষার আগেই নৌকা বিক্রির ধুম। তাই বসে নেই কারিগররা। দিনরাত এক করে নৌকা তৈরি করছে তারা। সেই সাথে চলছে পুরনো নৌকা মেরামতের কাজে। তাই গ্রামগঞ্জে মৌসুমী ডিঙি নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত মাঝি ও কারিগরা।

নদীর পানি বৃদ্ধি আর ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি আগমনী বর্ষার বার্তা জানান দিচ্ছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া পদ্মা তীরবর্তী এলাকা সবার আগে প্লাবিত হয়। তখন এসব প্লাবিত এলাকার মানুষের নৌকাই একমাত্র ভরসা। ফলে এ অঞ্চলের নৌকা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা একটু বেশি। বিশেষ করে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বারুয়াখালী, নবগ্রাম, মাদলা, ব্রাহ্মণখালী, বাহেরচর, হাগ্রাদি, দাউদপুর, গজারিয়া, শংকরদিয়া, সোনাবাজু, রাজাপুর, বালেঙ্গা, তিতপালদিয়া, ভাঙ্গাপাড়া ও জৈনতপুর এলাকা পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চল হওয়ায় কম বেশি সব সময়ই নৌকার চাহিদা থাকে। তাই এই অঞ্চলের মাঝি, জেলে ও কৃষকদের নৌকা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছে।

মাঝি, জেলে ও কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতি বছরই বর্ষার আগে পুরনো নৌকা মেরামত করা হয়। অন্যথায় বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বাগমারা ফার্নিচার ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী বলেন, আমি এমনিতে খুচরা ও বিভিন্ন হাটে বিক্রির উদ্দেশে কমদামি খাট, চৌকি, ঘরের দরজা, জানালা তৈরি করি। আর বর্ষা আইলে নৌকা বানাই। এই সময় আইলে আমার কারিগররা দুম ফেলার টাইম পায় না। আমার একজন কারিগর দিনে একটা নৌকা বানায়। সারা সাপ্তায় যা নৌকা বানান হয় আর খুচরা দুই একটা বিক্রি ছাড়া সব নৌকা বিক্রি হয় আমাগো পাশের জেলা মুন্সীগঞ্জের শিবরামপুর হাটে। প্রতি বৃহস্পতিবার ঐ হাটে আমার সব নৌকা বিক্রি হয়ে যায়। তবে আগের চাইতে বিক্রি কমেছে। পানি বাড়লে বিক্রি বাড়বে। এবার ৮ থেকে ১০ হাত নৌকা ৪/৫ হাজার টাকায় বিক্রি বিক্রি হচ্ছে। নৌকা বড় হলে দামও বৃদ্ধি পায়।

শুরগঞ্জ কাঠ পট্টির নৌকা তৈরির কারিগর জনি মন্ডল বলেন, বর্ষাকালে ঘরের কাজ একটু কম থাকে তাই বিকল্প হিসেবে নৌকা বানাই। আর রোজ হিসেবে করলে অন্য সময়ের চাইতে ২ থেকে ৪ শ টাকা বেশি পাই। ঘরের কাজে আমাদের মুজুরি ৬শ টাকা আর একটা নৌকা বানাতে পারলে পাই ৮শ টাকা। দুই দিনে ৩ টা নৌকা বানানো সম্ভব।

পাশের দোকানের নৌকা তৈরির কারিগর বিজয় মন্ডল বলেন, নৌকার কাজ ১২ মাস থাকলে অনেক ভালো হতো। এই দুই তিন মাস আমরা প্রতিদিন গড়ে হাজার টাকা আয় করতে পারি। কাজেও ঝুঁকি কম। এই নৌকার সিজনে পরিবারের সবাই নিশ্চিন্তে থাকে আরকি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ