1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার দিন আজ

প্রিয়বাংলা নিউজ২৪
  • আপডেট : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৮৭৮ বার দেখা হয়েছে

আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি পাকিস্তানের বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা পায়। ১০ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় পৌঁছানোর পর আনন্দে উদ্বেল লাখ লাখ মানুষ বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানায়। বিকেল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।

‘মুজিববর্ষ’-এর ক্ষণগণনা উপলক্ষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই ঐতিহাসিক দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে জাতির জনকের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান অবতরণ করবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে। বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি করা হবে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে। তার পাঁচ মিনিট পর প্রতীকী অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। শেষ পর্যায়ে নিজে বক্তব্য প্রদান করে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন ও লোগো উন্মোচন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অগুনতি মানুষ প্রত্যক্ষ করবে ক্ষণগণনা কর্মসূচি। উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীসহ সারা দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত ঘড়িতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হবে। দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্টে, সব বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা ও দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীতে মোট ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হয়েছে ক্ষণগণনা শুরুর জন্য।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ এই দিনটি থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন করবে। তার আগে আজ এই ক্ষণগননা শুরু হচ্ছে।

সরকারি উদ্যোগে এভাবে কোনো জাতীয় নেতার জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ এই প্রথম। জন্মশতবর্ষের আনুষ্ঠানিকতা চলবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ, অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় ৩০০ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা সাজিয়েছে ‘মুজিব শতবর্ষ’ বাস্তবায়ন কমিটি। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন বঙ্গবন্ধু দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু আজ ১০ জানুয়ারি শুক্রবার জুম্মার দিন ও বিশ্ব ইজতেমা থাকায় অনুষ্ঠানটি বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সারা দেশে আনন্দ উল্লাসের সঙ্গে একটি অপূর্ণতাও ছিল। তখনো পাকিস্তানি কারগারে বন্দি ছিলেন স্বাধীনতার মহানায়ক। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের মাটিতে তাঁর পা রাখার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সব আনন্দ এসে এক বিন্দুতে মিলিত হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করেই মুজিববর্ষের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরুর ৬৬ দিন আগে ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করছে বাস্তবায়ন কমিটি। এতে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিলেন। ‘খোকা’ নামের সেই শিশুই হয়ে ওঠেন রাজনীতির কবি, মুক্তিপথের নির্দেশক, বিশ্বের অন্যতম নেতা। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার সেই সময়ের রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ১৮ মিনিটের অলিখিত ভাষণ বিশ্বের কাছেও একটি অমূল্য সম্পদ।

‘মুজিববর্ষ’ আয়োজনের সঙ্গে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণ শুরুর আগে সারা দেশে একযোগে ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন’ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এসব আয়োজন বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ উদ্দেশ্যে সরকারি খরচে সবার জন্য উন্মুক্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কিছু স্থানে ‘শতবর্ষের প্রতীক্ষা’ শীর্ষক আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার অংশ হিসেবে থাকছে একটি করে ক্ষণগণনার ডিজিটাল ঘড়ি স্থাপন, এলইডি স্ক্রিনে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও ইতিহাস সম্পর্কিত বিভিন্ন অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা। একটি কিউআর কোডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে জন্মশতবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সুযোগ থাকবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ