ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের হযরতপুর এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্বে জোড়পূর্বক বাড়ি দখলের চেষ্টা ও বাড়ির উঠানে লাগানো ফলের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে ওই এলাকার ওয়াছেক মাদবর ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে।
মো. শেখ মামুন অভিযোগ করে বলেন, আমরা বাপ চাচারা হযরতপুর মৌজার সিএস ও এসএ দাগ ১৮ ও ১৯ এবং আরএস ২২ ও ২৩ দাগের সম্পত্তিতে আপোসছাহাম বন্টন দলিল করে আমার বাবার পাওনা হিস্যা বাড়ির সাড়ে নয় শতাংশ জমি দখলে আছেন। কিন্তু আমার বড় চাচা ওয়াছেক মাদবর বন্টন দলিল থাকা সত্ত্বেও আমার বাবা হারুন অর রশিদের সাথে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা সৃস্টি করে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং সামাজিক ভাবে বসে কয়েকবার সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে তারা কাউকে মানে না এমনকি সীমানার নির্ধারিত পিলার উঠিয়ে ফেলে দিয়েছে।
মামুন বলেন, সীমানা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে গত ২২ জুলাই সকালে আমার বড় চাচা ওয়াছেক মাদবর ও তার ছেলে শেখ সোহেল, মনির ও ওয়াছেকের স্ত্রী মনু বেগম সহ আমার বাড়িতে হামলা করে উঠানে লাগানো পেঁপেসহ দুটি গাছ জোড় করে কেটে ফেলে দিয়েছে। মাস খানেক আগেও বাড়িতে লাগানো পিয়ারা গাছগুলো কেটে ফেলে দেয়। এছাড়া আমাদের বাড়িতে বেশ খানেক বাড়ির অংশ দখল করে নেয়। নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
মামুন আরও জানান পরে স্থানীয় মেম্বারসহ এলাকার মুরব্বীরা এ বিষয়ে মীমাংসা করতে গেলে তাদেরকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এমনকি স্থানীয় মেম্বার মো. ছিদ্দিকের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকেও মারধর করে ও আমার পরিবারের উপর চওড়া হয়ে এলোপাথারি মারধর করে জখম করে। আমি ২৪ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি যাহার নং ৮১৪ তারিখ ২৪/০৭/২১ ইং।
বান্দুরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ছিদ্দিক বলেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। শান্তির লক্ষ্যে মিমাংসা করতে গেলে ওয়াছেক মাদবর গংরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে। পরে আমি নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপরে ওয়াছেক মাদবর বলেন, পেঁপে গাছ দুটি মরা ছিলো তাই আমার ছেলে কেটে ফেলছে। তিনি আরো বলেন, ইজমালী রাস্তার জায়গা বেঁড়া দেওয়ার জন্য পিল পুঁতা হইছে দখল করা জন্য না এগুলি সব মিথ্যা কথা।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামাল বলেন, এ বিষয়ে শেখ মামুন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিন্টু লস্কার বলেন, সাধারণ ডায়েরীর প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম তারা উভয়ই আত্মীয় এবং মেম্বারও এক পক্ষের আত্মীয় তারা উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.