পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের আওতাধীন থানা এলাকাগুলোর মহাসড়ক, সড়ক ও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধে ইতোমধ্যে প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতা সহ অন্তত ২৩ জনকে।
শনিবার (৬ মে) ঢাকা জেলা পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন উইং-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সচল রাখার স্বার্থে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে ঢাকা জেলা পুলিশ। গেল এক সপ্তাহে জেলার আওতাধীন প্রতিটি থানার চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে ৪৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ২৩ জন সহ মোট ৭০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার ভিত্তিতে এরই মধ্যে আশুলিয়া থানার বাইপাইল, সাভার, আমিনবাজার, অন্ধমার্কেট এবং কেরানীগঞ্জ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কদমতলী, কোন্ডা, আব্দুলাহপুর, বছিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে কদমতলী এলাকায় ট্রাক ও বাস থেকে চাঁদা তোলার সময় শুক্রবার (৫ মে) রাতে হাতেনাতে যুবলীগ নেতা ফরিদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ও ট্রাক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়। ফরিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কদমতলী ও ডাকপাড়ার চালকদের অভিযোগ, ফরিদ ২০-২৫ জন সহযোগী নিয়ে ভয় দেখিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলে আসছিলেন।
ফরিদ আটক হাওয়ায় শনিবার কদমতলী ও ডাকপাড়া এলাকার গাড়িচালকরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
এছাড়া কেরানীগঞ্জের কোন্ডা এলাকায় চাঁদাবাজির সময় শুক্রবার (৫ মে) হাতেনাতে আটক করা হয়েছে শ্রমিক লীগ নেতা মো. নাসিরকে।
ঢাকা জেলা পুলিশ জানায়, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সহ ঢাকা জেলার আওতাধীন আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধে চেকপোস্ট বসানোর পাশাপশি পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিটি সড়ক ও স্ট্যান্ডগুলোতে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.