1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে এক কিলোমিটার সড়কে ভোগান্তি চরমে

রিপোর্টার:
  • আপডেট : সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩
  • ১৯০ বার দেখা হয়েছে

সড়কের পিচঢালাই উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সড়কের বেহাল দশার কারনে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদেরও সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই করুন অবস্থা ঢাকা-বান্দুরা আঞ্চলিক মহাসড়কের বান্দুরা পিত্ততলা থেকে বান্দুরা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত। দূরত্ব অল্প হলেও ভোগান্তি অনেক বেশি। পাকা সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে কোথাও বড় বড় গর্ত আবার কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ড্রেনের। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিত্ততলা থেকে বান্দুরা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে সড়কে আর এ পানির নিচে রয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। কোনো গর্তের কতটুকু গভীরতা এটা বোঝার উপায় নেই, তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

জানা যায়, ঢাকা-বান্দুরা আঞ্চলিক মহাসড়কের গুলিস্থান থেকে মাঝিরকান্দা পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কিলোমিটার সড়কটি “মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) আওত্বাধিন। অন্যদিকে মাঝিরকান্দা থেকে বান্দুরা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত এই তিন কিলোমিটার সড়কটি দেখবাল করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি)।

স্থানীয়রা জানায়, রাজধানীতে যাতায়াতে সড়কটি নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের পথ। এছাড়া মানিকগঞ্জ জেলা সদর, হরিরামপুর, সিংগাইর উপজেলায় যাওয়ারও একমাত্র পথ এটি। খানাখন্দে কর্দমাক্ত ভরা সড়কটি সামান্য বৃষ্টি এলেই পানিতে তলিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণের। সংকট সমাধানে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

সমাজসেবক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বান্দুরা বাসস্ট্যান্ড থেকে পিত্ততলা, হলিক্রশ থেকে খেজুরবাগ এবং হাসনাবাদ গির্জার পিছনের রাস্তাটির বেহাল দশা। কোন অসুস্থ রোগী রাস্তাটি দিয়ে গেলে আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। টেন্ডার যখনই হোক আপাতত রাস্তাটি প্রাথমিকভাবে সংস্কার করা জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার সকলে মিলে কাজ করা উচিত। আশা করি প্রশাসন এব্যাপারে সুদৃষ্টি দিবে।

ইজিবাইক চালক ইয়ারব বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। ছোটবড় শতাধিক গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বান্দুরা হলিক্রশ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী অলি আহমেদ বলেন, স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। বৃষ্টিতে খুব সমস্যা হয় স্কুলে যেতে। পানিতে সব ভিজে যায়, এ দুর্ভোগ কবে শেষ হবে আল্লাহ জানে।

রোকেয়া বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দেখেন তো ভাই, কি অবস্থা! এ রাস্তা দিয়ে কি চলাচল করা যায়। এ রাস্তার কারনে কয়দিন পর তো এলাকায় কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চাইবে না। পুলাপান কিভাবে স্কুলে যাবে। অসুস্থ রোগীকে এ রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলে আরো অসুস্থ হয়ে যাবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে। এ মাসের ৩১ তারিখ টেন্ডার ওপেন হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ