1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

কারিতাস উদ্যম প্রকল্পের উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট : রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ২২৬ বার দেখা হয়েছে

বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে কারিতাস উদ্যম প্রকল্পের, মোহাম্মদপুর অফিসের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা, ভেজাল খাদ্য বিরোধী মানববন্ধন এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ঝুকিঁপূর্ণ জনগোষ্ঠির মাঝে পুষ্ঠিকর খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার মোহাম্মদপুরে ৯টি স্থানে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন করা হয়।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নিধারণ করা হয়েছে ” কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উওম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন”। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষিসংস্থার (এফএও) উদ্যোগেঅন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকাররের পাশাপাশি কারিতাস উদ্যম প্রকল্প বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যেমে পালন করছে।

মানববন্ধনটি ঢাকা মোহাম্মদপুর চাদঁ উদ্যান, হা-মীমস্কুল, বসিলা প্রিপ্রারেটরি স্কুল, মেট্রো হাউজিং, মোহাম্দপুর ল্যাবরেটরী হাইস্কুল তিন রাস্তা প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ভেজাল বিরোধী শ্লোগান লেখা ফেস্টুন, ক্যাপ পরিধান করেন। মানববন্ধনে হামীম মডেল স্কুল, মোহাম্মদপুর ল্যাবরোটরী হাইস্কুল স্কুল, বসিলা প্রিপ্রারেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কারিতাস উদ্যম প্রকল্পের সামাজিক দলের সদস্য, নেটওর্য়াক ফোরাম এর সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কারিতাস উদ্যম প্রকল্প ইনচার্জ ফরিদ আহাম্মদ খান, হামীম মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আলাউদ্দিন মিয়া, মোহাম্মদপুর ল্যাবরোটরী হাইস্কুল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: জামাল উদ্দিন, বসিলা প্রিপ্রারেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ মো: আনিস রহমান, আগস্টিন মিন্টু হালদার, মো: কবির হোসেন, রিচার্ড ডি’ সিলভা, মোস্তাক আহামেদ প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ফরিদ আহাম্মদ খান বলেন যে, সুস্থ্য জীবন যাপনের লক্ষ্যে ভেজালমুক্ত খাদ্যের বিকল্প নাই। ভেজাল খাদ্য স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। বাজারের ১০ শতাংশ খাদ্য মানসম্পন্ন নয়। ভেজাল খাদ্যের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

মো: আলাউদ্দিন বলেন যে, ভেজাল খাদ্য খেয়ে শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষ নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছে। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি পরিবার এবং সামাজিকভাবে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার জন্য আহবান করেন তিনি।

মো: পারভেজ বলেন যে, ভেজাল শব্দটাই নেতিবাচক। তা যদি খাদ্যের বেলায় হয়, তাহলে ভীতি সঞ্চার তৈরী হয়। খাদ্যে ভেজাল গোটা জাতিকে নীরবে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যারা খাবার তৈরীতে সম্পৃক্ত সেটা শিশুদেরই হোক আর বড়দেরই হোক তাদের নিরাপদ খাবার তৈরী সম্পর্কে তাদের জানতে হবে। জরুরী পুষ্টি উপাদান গুলো ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে হবে নিদিষ্ট মাত্রায়। মোড়কে এগুলো উল্লেখ থাকতে হবে। মো: জামাল উদ্দিন বলেন যে, খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা, ভেজালমুক্ত খাদ্য আমাদের ন্যায্য অধিকার।

বক্তরা আরো বলেন যে, আমাদের ছেলে মেয়েরা কি খাচ্ছে, কতটা নিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ খাবার খাচ্ছে তা তাকিয়ে দেখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপুষ্টির পাশাপাশি আমাদের দেশে বেশী ওজনের পপুলেশন ও এর পরিণতিতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি আমাদের জন্য ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে দায়িছে। এজন্য প্রশাসনকে নৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। লোভের মাত্রা কমাতে হবে ব্যবসায়ীদের। সব শ্রেণীর মানুষের লোভ ত্যাগ এবং ব্যবসায়ীদের ভালো মানসিকতাই পারে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করতে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষ ছাড়াও জীব বৈচিত্র ধবংস হয়ে যাচ্ছে।

বক্তারা সরকারের নিকট বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো- ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারকে আরো কঠিন অবস্থানে যেতে হবে। মাননিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের তদারকি বাড়ানো জরুরী। কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী অতিরিক্ত মোনাফার লক্ষ্যে খাদ্যে ভেজাল মিশ্রিত করছেন। ভেজাল খাদ্য তৈরীতে সম্পৃক্তকারীদের কোনক্রমেই ছাড় দেওয়া যাবে না। ভেজাল রোধে দরকার ভোক্তা অধিকার আইন ও দায়িত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা, প্রচার মাধ্যমের দায়িত্বশীলতা, প্রতারণামুলক বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সব ধাপে নজরদারি, ভেজালবিরোধী আইনের সঠিক প্রয়োগ। খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরালো করা এবং এ ব্যাপারে কৃষি, খাদ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ভূমিকা পালন করা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ