প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, ঢাকার দোহারের তীরবর্তি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার নারকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ চরে দশ হাজার একর জায়গার পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ চরে পাওয়ার প্লান্ট নির্মিত হলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।
বুধবার দুপুরে ঢাকার দোহারে পদ্মা নদীর বাম তীরের সংরক্ষণ বাঁধ পরিদর্শনে এসে উপজেলা ডাক বাংলো ঘাটে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি বলেন, দোহারে সবচেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গন। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আমি কথা দিয়েছিলাম দোহারের নদী ভাঙ্গন সমস্যা সমাধান করার। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকল্প চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেন।
তিনি বলেন, শুরুতে যে প্রকল্পটি নিয়েছিলাম সেটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেখা যায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে আবার নতুন করে গবেষণা করতে হয়। এর ফলে শুধু বাঁধ নয় প্রকল্পের সাথে ড্রেজিং ও সংযুক্ত করতে হয়েছে। এর ফলে পুরো
দোহারের নদী সীমানা বাঁধের আওতায় আসবে। এতে দোহারের প্রতিটি এলাকা নিরাপদ হবে।
সালমান এফ রহমান এর আগে সকাল ৯টায় ডাক বাংলো ঘাট থেকে সী-বোট যোগে দোহারের ২২ কিলোমিটার পদ্মার তীর পরিদর্শন করেন।
আগে পদ্মার তীর রক্ষা বাদ পরিদর্শনে এসে সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সী-বোটে দোহারের পদ্মানদীর মাঝিরচর থেকে মৈনটঘাট, বাহ্রা হয়ে ফরিদপুরের সদরপুরের পদ্মানদীর নিকটবর্তি কয়েকটি ইউনিয়ন পরির্দশন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতির্কি প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ, সহকারি কমিশনার ( ভূমি) ফজলে রাব্বি, দোহার সার্কেল এএসপি জহিরুল ইসলাম, দোহার থানা ওসি মোস্তফা কামাল, দোহার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদরপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ আরো অনেকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.