1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

আজ ইছামতি নদীতে নৌকা বাইচ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট : শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৮৬৬ বার দেখা হয়েছে

আজ ঢাকার নবাবগঞ্জের দেওতলা ইছামতি নদীতে ঐতিহ্যের নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে। বাইচ উপলক্ষে এলাকা জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইছামতি দু’পাড়ে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান জন্মের আগ থেকেই এ অঞ্চলে বাংলা সনের ভাধ্র মাসে মাসব্যাপী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে করোনার কারণে দু’বছর পর এবার বাংলা সনের আশ্বিন মাসে এ আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এখন নদীতে পানি না থাকার কারণে মাসব্যাপী আর এখন নৌকা বাইচ হয় না। এবারের সবচেয়ে বড় নৌকা বাইচের আয়োজন এটি।

ঐতিহ্য অব্যাহত রাখতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আজ ১লা অক্টোবর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দেওতলা ইছামতি নদীতে অনুষ্ঠিত হবে। দেওতলা নবারুণ সংঘ ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সভাপতি মো. মাসুদ মোল্লার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন ও নবাবগঞ্জ নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু।

ইতিমধ্যে বাইচে অংশ নিতে বিশালাকৃতির ১০টি ঘাসি নৌকা, খেলনা নৌকা, কোষা নৌকা অংশগ্রহণ করতে রেজিস্ট্রেশন করেছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, সিংগাইর এবং ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আকর্ষণীয় বিশালাকৃতির নৌকা অংশগ্রহণ করবে। পুরো এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপির আগমনকে ঘিরে এলাকাবাসীর বেশ কিছু প্রত্যাশা রয়েছে।

কথা হয় নৌকাবাইচ ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিম মোল্লার সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নবাবগঞ্জে কয়েক শত বছরের ঐতিহ্য নৌকা বাইচ। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরে নদীতে পানি না থাকায় ঐতিহ্য ভাটা পড়েছে। পানি না থাকার কারণে শুধু এ ঐতিহ্যই ভাটা পড়ে নাই, নদী নির্ভর জেলে সম্প্রদায়কে জীবিকা নির্বাহ করতে কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। আর এ সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন পদ্মা নদীর সাথে মতি নদীর সংযোগ করে সোনাবাজু বেরি বাদে সুইচগেট নির্মাণ।

সূত্র জানায়, এক সময় ঢাকার নবাবগঞ্জে ভাদ্র মাস এলেই শুরু হতো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। পুরো এক মাসব্যাপী ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এলাকাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতো এ নৌকা বাইচ। পুরো উপজেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করতো। প্রতিটি বাসায় পিঠা-পুলি বানানোর ধুম পড়ে যেতো। বিকাল হলে দাদা, নানা, চাচাদের সঙ্গে বাইচ দেখতে ছোট্ট ছেলে মেয়েরাও বায়না ধরতো। বাধ্য হয়ে ডিঙ্গি নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে তাদেরকে নিয়ে নৌকা বাইচ দেখতে যেতেন। অনেক পরিবারে আবার বাড়ির সবাই মিলে নৌকা বাইচ দেখতে হাজির হতো।

এ ব্যাপারে দেওতলা নবারুণ সংঘের সভাপতি মো. মাসুদ মোল্লা বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য প্রতিবছরই গ্রামবাসীর সহায়তায় অনেক কষ্ট করে নৌকা বাইচের আয়োজন করি। কিন্তু গত দুই বছর মহামারি করোনার কারণে আমরা এ আয়োজন থেকে বিরত ছিলাম। তবে এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাব কম থাকায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ১লা অক্টোবর নৌকা বাইচের আয়োজন করেছি। গ্রামবাসী ও এলাকার যুব সমাজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ