ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে রুনা নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক এক নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
সোমবার নিহতের বড় ভাই জহুর আলী (৪১) বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুইজনসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জহুরা বেগম (৪৫) নবাবগঞ্জ উপজেলার বড় বলমন্তচর গ্রামের হযরত আলীর (৫৫) স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে হযরত আলী ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম করোনার টিকা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এসময় জহুরা বেগম গলার স্বর্ণের চেন দেখতে না পেয়ে চোর সন্দেহে রুনা ও পপি নামে দুই মহিলাকে আটক করে তাদের বাড়িতে নিয়ে মারধর করেন। এ ঘটনায় বাড়িতে আরও লোকজন জড়ো হয়ে গণপিটুনির এক পর্যায়ে রুনা নামে এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। অন্যজনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে দ্রুত নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
নিহত রুনা ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ডহর মন্ডল গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর মেয়ে এবং আহত পপি একই গ্রামের মহরম আলীর মেয়ে ও নিজামুদ্দিনের স্ত্রী।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, এ মামলায় এজাহার নামীয় ২নং আসামি আটক জহুরাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনার প্রধান আসামি জহুরার স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও এ মারপিটের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সকলকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হবে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.