ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের হরিষকুল গ্রামে ফের দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাতের কোন একসময় এ ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত রবিবার রাতে একই গ্রামের আরেকটি মন্দিরে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক এলাকার বাসিন্দা অনুপম দত্ত নিপু জানান, হরিষকুল গ্রামের ডা. গোবিন্দ পালের বাড়ি ‘কালি মন্দির’ ও গুরুপদ পালের বাড়ির ‘শীতলা মন্দিরে’ ভাংচুর ও প্রতিমা চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা শীতলা মন্দিরের ‘শীতলা’ প্রতিমাটির হাত ভেঙে ফেলে এবং পাশের কালি মন্দির থেকে পাথরের একটি গোপালের মূর্তি এবং একটি মাটির মূর্তি চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে গত রবিবার রাতে একই গ্রামের রাধাগোবিন্দ পালপাড়া মন্দিরের গোৗরনিতাইর প্রতিমা ভাংচুর করে এবং ওই মন্দিরের রাধাকৃষ্ণের প্রতিমার মুখ আগুন দিয়ে ঝলসে দেয় দুর্বৃত্তরা। চুরি করে নিয়ে যায় প্রতিমার কপালে থাকা দুটি চাঁদ (টিপ)।
টানা ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় হরিষকুল গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ ও দোহারের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা।
দোহার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক অমিতাভ পাল অপু বলেন, চুরি বা পরিকল্পিত হামলা যেটাই হোক প্রশাসনের উচিত ঘটনার কারণ উদঘাটন করে এবং দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। এদের চিহ্নিত করা না গেলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
এদিকে বুধবার সকালে হরিষকুলের দুটি মন্দির পরিদর্শণ করেছেন দোহার সার্কেলের এএসপি জহিরুল ইসলাম।
দোহার সার্কেলের এএসপি জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে পরপর ঘটে যাওয়া তিনটি ঘটনার কারনই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত রবিবারের ঘটনায় মামলা হয়েছে নবাবগঞ্জ থানায়। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায়ও একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.