ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা বাজারের বান্দুরা সেন্ট্রাল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে মো. গিয়াস উদ্দিন (৪৫) নামে এক ভূয়া চিকিৎসককে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম।
সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসক মো. গিয়াস উদ্দিন ময়মনসিংহ জেলা সদরের বাসিন্দা।
সুত্র জানায়, গত এক বছর ধরে তিনি এ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার নামে বিভিন্নভাবে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গিয়াস উদ্দিন নামে ভুয়া এ চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে তাকে এ অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম।
জানা যায়, ছদ্মবেশধারী এ চিকিৎসকের কোন এমবিবিএস ডিগ্রী নেই। তিনি সকল রোগের চিকিৎসা দেন। থাইরয়েডের বিশেষজ্ঞ না হওয়া স্বত্তেও তিনি এই রোগের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একাধারে দাঁতের অপারেশন করেন, গেস্ট্রোলিভারের রোগী দেখেন। অন্যান্য অপারেশন, জটিল রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপদেশ চিকিৎসাপত্রে লিখে দেন এবং চিকিৎসা দেন। এমবিবিএস ডিগ্রী ও বাংলাদেশে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন না থাকা স্বত্তেও ডা. পদবি ব্যবহার করে আসছেন।
অভিযানকালে ভূয়া এ চিকিৎসককে চিহ্নিত করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিন।
উপজেলা সহকমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া চিকিৎসক বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.