1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

শ্রাবণ মাসেও বর্ষা নেই, হতাশায় নৌকা ব্যবসায়ীরা

শামীম হোসেন সামন.
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
  • ৩০৩ বার দেখা হয়েছে।

আষাঢ় মাস পেরিয়ে শ্রাবন মাসও যায় যায়। অথচ ঢাকার নবাবগঞ্জের নদ-নদী ও খাল, বিলগুলোতে স্বাভাবিক বর্ষার দেখা নেই। বর্ষার ভরা মৌসুমেও পানি না হওয়ায় বন্যা-বর্ষাকে সামনে রেখে জমজমাট নৌকার ব্যবসায় এখন চরম মন্দা দেখা দিয়েছে। লোকসানে পড়েছে নৌকা ব্যবসায়ীরা। হতাশ হয়ে পড়েছে নৌকার কারিগররাও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় সারি সারি নৌকা তৈরি করে রাখছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদা না থাকায় হাট-বাজারেও বিক্রি হচ্ছে না নৌকা। রৌদে শুকিয়ে যাচ্ছে নৌকা।

নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া পদ্মা তীরবর্তী এলাকা সবার আগে প্লাবিত হয়। তখন এসব প্লাবিত এলাকার মানুষের নৌকাই একমাত্র ভরসা। ফলে এ অঞ্চলের নৌকা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে। বিশেষ করে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বারুয়াখালী, নবগ্রাম, মাদলা, ব্রাহ্মণখালী, বাহেরচর, হাগ্রাদি, দাউদপুর, গজারিয়া, শংকরদিয়া, সোনাবাজু, রাজাপুর, বালেঙ্গা, তিতপালদিয়া, ভাঙ্গাপাড়া ও জৈনতপুর এলাকাসহ পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চল হওয়ায় কম বেশি সব সময়ই নৌকার চাহিদা থাকে। তাই এই অঞ্চলের মাঝি, জেলে ও কৃষকদের নৌকা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়ে। তবে এবছর বর্ষার পানি না থাকায় নৌকা তৈরি করেও বিপাকে পড়েছেন নৌকা ব্যবসায়ীরা।

জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যাণশ্রী গ্রামের রনজিৎ সরকার বলেন, ‘প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাস থেকেই পদ্মা নদীগুলো বর্ষার পানিতে ভরে যায়। আর তখন থেকেই নৌকা বিক্রীর ধূম পড়ে যায়। কিন্তু এবছর শ্রাবণ মাসও শেষ হয়ে যায় কিন্তু বর্ষার কোন চিহ্ন নাই। নদী-নালাগুলোতেও তেমন পানি নাই না থাকায় মানুষের নৌকা কেনার আগ্রহ নাই।

বাহাদুরপুর এলাকার নৌকা ব্যবসায়ী নিমাই সরকার বলেন, প্রতি বছর আষাঢ় মাস থেকেই নৌকা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। গত বছর এসময়ে ৬০টি নৌকা বিক্রি করেছিলাম। এবার পানি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি ডিঙ্গি নৌকা বিক্রি করেছি। ক্রেতার অভাবে তৈরি করা নৌকাগুলি এখন রোদ্রে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সাপ্তাহিক শুক্রবার হাট বসে বারুয়াখালী। ব্যবসায়ীরা শত শত নৌকা নিয়ে হাটে আসেন বিক্রি করতে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে নৌকার হাট। পানি না আসায় সে হাটেও এবার নৌকা ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে।

বর্ষার শুরুর আগেই কারিগররা লাভের আসায় শত শত নৌকা তৈরী করে রেখেছেন। বর্ষা না হলে বেশ লোকসানে পড়বে ব্যবসায়ীরা।

এখান থেকে আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

ক্যাটাগরির আরো খবর