1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন

নবাবগঞ্জে কুপিয়ে যুবকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করলো মাদকসেবীরা

সিনিয়র প্রতিবেদক:
  • আপডেট : বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৩২৮৩ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার নবাবগঞ্জে আনোয়ার হোসেন (২৩) নামের এক যুবকের হাতের কব্জি আলাদা করে ফেলেছে মাদকসেবীরা। গত ৬ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের কাঠ বাগান মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এবিষয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে জানান আহত আনোয়ার হোসেনের বাবা ইউনূছ মোল্লা।

ইউনূছ মোল্লা জানান, গত ডিসেম্বর মাসে প্রতিবেশি তাজেল হোসেনের ছেলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আকাশসহ কিছু বখাটে যুবক মদ পান করে। এঘটনা তিনি বখাটে আকাশের বাবা আইয়ুব আলীকে জানালে তিনি ছেলেকে শাসন করেন। এতে আকাশ ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়ে বাড়িতে থাকা ইউনূছ মোল্লার ছেলে আনোয়ারকে মারধর করে। এনিয়ে আকাশ ও আনোয়ারের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর স্থানীয় গ্রাম্য শালিসে আপস মিমাংসা করে দেয়া হয়। এরপরও তারা থেমে থাকেনি, স্থানীয় সন্ত্রাসী কাসেম আমার পরিবারের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে আসছিল আনোয়ারের পাঞ্জা কেটে নেয়া হবে।

ইউনূছ মোল্লা অভিযোগ করেন, সেই ঘটনার জেরে ৬ জানুয়ারি রাতে স্থানীয় রজ্জব পাগলার বাড়ির মেলা থেকে বাড়ি ফেরার সময় শান্তিনগর গ্রামের কাঠ বাগানে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আনোয়ার ও তার বোন জামাই আমীনের উপর হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আনোয়ারের বাঁ হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ার আহতাবস্থায় দৌড়ে বাড়ি ফিরে চিৎকার দিয়ে বোন জামাই আমীনকে বাঁচানোর আকুতি জানায়। আমীনকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরিবারের লোকজন তাদের আহতাবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। আমীনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে আনোয়ার বর্তমানে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

এঘটনায় ৮ জানুয়ারি ইউনূছ মোল্লা বাদী নবাবগঞ্জ থানায় ১০ জনের নামে হত্যাচেষ্টা ও অঙ্গহানির মামলা করেন। ঐ রাতেই আইয়ুব আলী ও কাসেমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন থানা পুলিশ। পরে ১৩ জানুয়ারি মামলার আসামী লিটন, রাকিব, কাজল আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তাদেরও জেল হাজতে পাঠান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ভজন কুমার রায় জানান, মামলা হওয়ার পরপরই প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ আসামী জেল হাজতে রয়েছেন। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ