ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী গ্রামের আলেয়া বেগম। স্বামী মো. ওয়াছেক পেশায় একজন তাঁতি। বসত বাড়ির ৬ শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। আলেয়া বেগমের শরীরে বাসা বেঁেধছে টিউমার। অর্থের অভাবে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে আলেয়ার জরায়ু টিউমার অপারেশন করতে পারছেন না দরিদ্র পরিবারটি।
ছয় সদস্যের সংসার ওয়াছেকের। এ দিকে স্ত্রী আলেয়া বেগম জরায়ুর টিউমার নিয়ে ভুগছেন ৪ বছর ধরে। ছেলে মেহেদী হাসান কাজ করতেন ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে। হঠাৎ করোনার কারনে বন্ধ হয়ে গেছে রেস্টুরেন্ট। আরেক ছেলে মৃদুলের বয়স মাত্র ১২। কিন্তু অভাবের সংসারে মায়ের অসুস্থতা ‘মরার উপর যেন খাড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিছে। এই বয়সে স্কুলে পড়ার কথা থাকলেও নেমে পড়েছে কাজে। কাজ করছে একটি থাই ও অ্যালুমিনিয়ামের দোকানে।
স
্ত্রীকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ওয়াছেক। কিন্তু অর্থের কাছে অসহায় বোধ করছেন পরিবারটি। ওয়াছেক বলেন, টাকার অভাবে বড় ছেলেকে পড়াতে পারি নাই। ভেবেছিলাম আমি আর বড় ছেলে কাজ করে ছোট ছেলেটা পড়াব। কিন্ত করোনার কারনে হাতে কাজ নেই। বড় ছেলেটাও চাকুরী চলে গেছে করোনার জন্য। বাধ্য হয়ে ছোট ছেলেটা একটা দোকানে দিয়েছি। একদিকে সংসারের খরচ আবার স্ত্রী আলেয়ার অপারেশনে জন্য প্রয়োজন অনেক টাকা।
জানা যায়, ৪ বছর আগে আলেয়ার জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের কাছ থেকে জরায়ুতে টিউমারের কথা জানতে পেরে আলেয়ার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। কিন্ত আর্থিক সংকটে অপারেশন করাতে পারেননি।
আলেয়া বেগম জানান, ৪ বছর আগেই চিকিৎসকরা অপারেশন করার পরামর্শ দেন। অভাবের সংসারে খাবারই জুটে না। তাই আর অপারেশ করানো হয়নি। জানি চিকিৎসা করাতে না পেরে একটি মরে যাব। তবে সন্তানদের জন্য বাঁচতে মন চায়। আমি মারা গেলে ওদের কি হবে ভাবলেই আরো অসুস্থ হয়ে যাই।
বড় মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, বাবা তাঁতের কাজ করে সংসার চালায়। এখন করোনার কারনে তাঁতের কাজও বন্ধ। এ দিকে মায়ের টিউমার অপারেশন করাতে দরকার অনেক টাকা। সকলে সহযোগিতা করলে আমার মা ভালো হয়ে উঠবে। সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
আলেয়া বেগমের সহযোগিতা করতে চাইলে বড় মেয়ের সাথে ০১৮১৫৭৪৫২৫৬ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন পরিবারটি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.