ঢাকার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার সড়কটির সেতুর উপর এভাবেই ক্রসিং করে নেয়া হয়েছে ড্রেজার মেশিনের পাইপ। প্রতিমূহুর্তে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এই সড়কটিতে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা। গ্রামবাসী এভাবে পাইপ বসাতে দেখলেও প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। শনিবার বিকেলে এই প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে গ্রামবাসী কয়েকজন দাড়িয়ে থাকলেও এ কান্ডের হোতাদের নাম বলতে সাহস পায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে যানা যায়, নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরব আলী ও নুরু ভুইয়ার ড্রেজারের বালুর পাইপ এটি।
শুধু এ স্থানটিতে নয়, নয়বাড়ি ইউনিয়ন জুড়ে চলছে তাদের মতো কয়েকজনের বালু ব্যবসার দাপট। বালু ব্যবসায়ীরা কোন ধরণের সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান প্রধান সড়কের উপর ও নিচ দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। সড়কের নিচ দিয়ে পাইপ নেয়ায় গত বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দোহার-নবাবগঞ্জ-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আন্তা এলাকায় ঘটেছে সড়ক ধ্বসের ঘটনা। এরপর বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশের সড়কে ঘটেছে একই ঘটনা। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের অলিগলির সড়ক পর্যন্ত সবখানে ড্রেজারের পাইপ। কোথাও সড়কের উপর দিয়ে আবার কোথাও সড়কের নিচ দিয়ে। সড়কের উপরের পাইপগুলো এক থেকে দেড় ফুট উঁচু করে বসানো হয়েছে। মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হচ্ছে না কারণ সবাই সরকার দলীয় নেতা, কেউ আবার দলের পাতি নেতা, কেউ আবার ইউপি সদস্য। পদ্মা নদীর দিকে তাকালে শুধু ড্রেজার আর পাইপ চোখে পড়বে। কোথাও কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ করে পাইপ ঢোকানো হয়েছে।
নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রাঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদী থেকে বাল্কহেডের মাধ্যমে নদীর তীর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে মাটি ফেলা হচ্ছে। এ কাজে সেখানে ব্যবহ্রত হচ্ছে ৮ থেকে ১০টি ড্রোজার মেশিন। এসব ড্রেজারগুলো যারা নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা সবাই আওয়ামীলীগ ও তার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী। তাদের মধ্যে ইউপি সদস্য আরব আলীও রয়েছেন।
এ বিষয়ে আরব আলীর সাথে একাধিকবার কথা বলতে তাঁর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ায়ম্যান শামীম আহমেদ হান্নান বলেন, অবৈধ ড্রেজার ও রাস্তা ফুটো করে পাইপ ঢোকানোর বিষয়ে আমি উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তারা অতি শিঘ্রই ব্যবস্থা নিবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.