1. news@priyobanglanews24.com : PRIYOBANGLANEWS24 :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে ৩০ পরিবার হোম কোয়ারেন্টাইনে

আসাদুজ্জামান সুমন। প্রিয়বাংলা নিউজ২৪
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৬৯৩ বার দেখা হয়েছে

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চুড়াইন ইউনিয়নের মুন্সীনগর এলাকার চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আক্রান্তদের পরিবারসহ আশেপাশের অন্তত ৩০টি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু।

তিনি প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ কে বলেন, ওই এলাকায় চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে আজ এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করে আক্রান্তদের পরিবারসহ আশেপাশের প্রায় ৩০টি পরিবারের সকল সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকায় প্রায় ৩০০টি পরিবারের সদস্যদের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

এলাকাটি লাল নিশান দিয়ে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন সব ধরণের সহযোগীতা করবে। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সব ধরণের সহযোগীতা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আক্রান্তদের এলাকাগুলোয় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেখছে আর অন্যান্য বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসন দেখবে বলে জানান ইউএনও।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ কে বলেন, আজকের দুজনসহ ওই এলাকায় চারজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাবা-ছেলে রয়েছেন। এ নিয়ে এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ জনে। যারমধ্যে চুড়াইন ইউনিয়নের মুন্সীনগর এলাকায় বাবা-ছেলেসহ চারজন। এরা একই কারখানায় কাজ করতেন। কারখানা থেকেই তারা সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। অপরজন গোবিন্দপুর গ্রামের।

এখন পর্যন্ত এ উপজেলা থেকে আইডিসিআরে ৮৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে পর্যায়ক্রমে ৮ জন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত সৌদি আরব প্রবাসী ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এক এলাকার চারজন আক্রান্তদের তিন পরিবার থেকে এ পর্যন্ত আমরা ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে। ১০ জনের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বাকি ৮ জনের ফলাফল এখনও পাইনি বলে জানান ডা. অনুপ।

নবাবগঞ্জে খারাপের মধ্যে ভালো এতটুকু যারা এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন পরবর্তীতে তাদের পরিবারের আর কেউ নতুন করে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়নি বলে জানান এ চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকার্তা ডা. শহিদুল ইসলাম জানান, আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুরে নতুন আক্রান্ত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ