‘দই, রসমালাই, জলশিরা রসগোল্লা কিংবা চমচম যা নিবেন ১০০ টাকা কেজি’ ঢাকার দোহারের কার্তিকপুর বাজারের মিষ্টির দোকানিদের এমন ঘোষণায় সোমবার সন্ধার দিকে মিষ্টি বিকিকিনি নিয়ে হুলুস্থুল কান্ড শুরু হয়। মিষ্টি কিনতে বাজারের প্রতিটি দোকানে হুমরি খেয়ে পড়ে উৎসুক ক্রেতারা।
করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট আশঙ্কাজনক এমন পরিস্থিতিতে মিষ্টি বিকিকিনি নিয়ে হুলুস্থুল এমন কান্ডে হতবাক অনেকেই। ওষুধ ও নিত্যপণ্য বাদে প্রশাসন থেকে সব দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণার কারনে তৈরিকৃত মিষ্টি নিয়ে বিপাকে পরেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। ওই মিষ্টি বিক্রিতে সোমবার সন্ধা ৬টার দিকে দোকানে থাকা যে কোন মিষ্টি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির ঘোষণা দেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুরদূরান্ত থেকে অনেকে মিষ্টি কেনার জন্য কার্তিকপুর বাজারের ছুটে আছে। রাত নয়টা পর্যন্ত বাজারের প্রতিটি মিষ্টির দোকানে উৎসুক ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রাত সাড়ে নয়টার মধ্যেই কার্তিকপুর বাজারের প্রতিটি দোকানের সব ধরনের মিষ্টি শেষ হয়ে যায় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দোহারের নয়বাড়ি ইউনিয়নের অরঙ্গাবাদ থেকে কার্তিকপুর বাজারে মিষ্টি কিনতে আসা মো. আসলাম বলেন, আমার এক আত্মীয় ফোনে বলল কার্তিকপুর বাজারে যে কোন মিষ্টি নাকি ১০০ টাকা কেজি। এমন খবরে মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটে এসেছি। এসেছিলাম রসমালাই ও দই কিনতে। তারপর রসগোল্লা খুঁজেছি, তাও পাইনি। অবশেষে ১০০ টাকা কেজিতে কালোজাম ও চমচম নিয়ে গেলাম। তিনি হাসিমুখে বলেন, ‘যাই হোক লস তো হয় নাই ভাই, দই বা রসমালাই পেলে লাভ বেশি হইত!”
কার্তিকপুর বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা বলেন, বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে তারা সোমবার সন্ধা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে কিছুটা হলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছে তারা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.