ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় মনিন্দ দাস (৭০) নামে খেয়া নৌকার মাঝিকে হত্যার দায়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।র্যাবের সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ৯ ফেব্রুয়ারী ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে চুনকুটিয়া এলাকার রাজু আহমেদ লালু মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বি (২১), একই এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে মোঃ শরীফ (২০) ও ঝাউবাড়ি এলাকার নুর শেখের ছেলে আজিজুল শেখ ২২)। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১০ এর মিডিয়া শাখার এএপি এনায়েত কবীর শোয়েব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।
র্যাব-১০ এর মিডিয়া শাখার এএপি এনায়েত কবীর শোয়েব জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারী ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার টিপু মিয়ার বাড়ীর সামনে অচেতন অবস্থায় গুরুত্বর জখম অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশে খবর দেয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়, নিহতের নাম মন্দিদ দাস (৭০), সে বাঘৈর এলাকার মৃত বরন দাসের ছেলে। পেশায় বুড়িগঙ্গা নদীর তেল ঘাট এলাকার খেয়া নৌকার মাঝি।
উক্ত ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ৫ ফেব্রয়ারী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় ব্যাব-১০ ছায়া তদন্ত শুরু করে সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা খেয়া নৌকার মাঝি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তিনি আরও জানান, হত্যাকান্ডের দিন ভোরে নৌকার মাঝিকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য গ্রেফতারকৃতরা ঘেরাও করে। মাঝির নিকট টাকা-পয়সা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারেেলা অস্ত্র দিয়ে থুতনীর নিচে, নাভির উপরে, বুকের বামপাশে ও পেটের উভয় পাশে একাধিক আঘাত করে ফেলে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও চাাঁদাবাজির সাথে জড়িত। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.