ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরায় শত বছরের রথখোলা কালি মন্দিরের দেবালয় রেকর্ডীয় জমি জবর দখলের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় হরেকৃষ্ণ দাস গংদের বিরুদ্ধে।
মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি লক্ষণ রাজবংশী অভিযোগে জানান, নতুন বান্দুরা মৌজাস্থিত ১নং খাস খতিয়ানের এসএ দাগ ২৭২ ও আরএস ৩৫০ দাগের ৪৯ শতক জমি দেবালয় শ্রেণীতে রুপান্তরিত। এ জমিতে প্রায় একশত বছরের উর্ধ্বকাল হতে নতুন বান্দুরা রথখোলা কালি মন্দির স্থাপন করে পূজা অর্চনা করে আসছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। এমতাবস্থায় দেবালয় সম্পত্তি রমনী মোহন দাসের নামে গত ১৪/০১/১৯৮১ ইং তারিখে ২৪০নং সৃজনকৃত দলিল দেখানো হয়। তার মৃত্যুর পর পৈতৃক ওয়ারিশ সুত্রে হরেকৃষ্ণ দাস, শ্রীকৃষ্ণ দাস, প্রানকৃষ্ণ দাস নবাবগঞ্জ ভ‚মি অফিসে ভ‚ল তথ্য দিয়া ষোলআনা সম্পত্তি নিজেদের নামে নামজারি করে নেন। পরবর্তীতে শ্রীকৃষ্ণ দাস তার স্ত্রী গৌরি রানী দাসের নামে ১২ শতক সম্পত্তি সাফ কবলা দলিল করে দেন। ঐ দলিল মূলে গৌরি রানী দাস গত ১৭/০৫/১৫ ইং তারিখে নবাবগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে পাঁচখন্ড দলিল করে স্থানীয় নিরঞ্জন সরকার, পলাশ চন্দ্র সরকার গং, দিলিপ কুমার সরকার গং, সত্য রঞ্জন সরকার গং ও রুপচান সরকারদের নিকট বিক্রি করে দেন।
লক্ষণ রাজবংশী আরো অভিযোগ করেন, জমির উপর জবর দখলে থাকা লোকেরা মন্দিরে কোন কার্যক্রম করতে গেলে বাধাঁ বিঘœ সৃষ্টি করছেন। মন্দিরে কাজ করতেও নিষেধ করেন। এমনকি আশপাশে ময়লা আর্বজনা ফেলে পরিবেশ দূষিত করে রেখেছে। দেবোত্তর সম্পতি দখল মুক্ত করতে আমরা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে গত ১২/০১/ ২১ইং তারিখে নবাবগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভ‚মির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া গত ২৭/০১/২১ ইং তারিখে ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করি।
পরে আমরা জবরদখলীয়দের ক্রয় করা জমির নামজারী বাতিল চেয়ে তা মূলজোতভুক্ত করতে নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি অফিসে দরখাস্ত করলে মিসকেস নং ৪২/২০২১ রুজু হয়।
জমি দাবীকারীদের পক্ষে হরেকৃষ্ণ দাস এ ব্যাপারে বলেন, এ সম্পত্তি আমার বাবা সরকারের কাছ থেকে দলিল করে নিয়েছে। ওটা আমাদেরই পারিবারিক মন্দির ছিল।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. রাজিবুল ইসলাম মুৃঠোফোনে বলেন, এবিষয়ে মিস কেস রজু হয়েছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.