ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাগমারা বাজারের একটি মোবাইলের দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ওই বাজারের সেবা টেলিকম এন্ড মোবাইল সার্ভিসিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাগমারা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ফরহাদ কবির ভূঁইয়া।
তিনি প্রিয়বাংলা নিউজ২৪ কে জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে খাবার খেতে যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সুশান্ত। সে সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পরে কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ এলে ওই দোকানের চালের উপর দিয়ে ধোয়া ও পোড়া গন্ধ পায় আশেপাশের ব্যবসায়ীরা।
বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত ওই দোকানের তালা ভেঙ্গে আগুন নিভাতে সক্ষম হয় তারা। এতে করে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ও বিপদ থেকে রক্ষা পায় আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ আগুনের সূূূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আশেপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে একটি প্লাষ্টিকের বড় গোডাউন, বামে একটি ও ডানে চারটি ইলেকট্রিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগুন যদি আশেপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়তো তাহলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ও বিপদ হতো। এছাড়াও নবাবগঞ্জে কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় কেরানীগঞ্জ বা দোহার থেকে ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে ততোক্ষণে সবকিছু শেষ হয়ে যেতো।
ক্ষতিগ্রস্ত ওই দোকান ব্যবসায়ী সুশান্ত রাজবংশী হরিগোপাল (২৮) জানান, আমি দুপুরে আড়াইটার দিকে দোকানের বৈদ্যুতিক সব সুইচ বন্ধ করে শার্টারে তালা মেরে খাবার খেতে বাড়িতে যাই। এর কিছুক্ষণ পরেই মোবাইলে জানতে পারি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দোকানে এসে দেখি দোকানে থাকা কয়েকটি মোবাইল, সার্ভিসিংয়ের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য বেশকিছু মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। কিভাবে কি হলো বুঝে উঠতে পারছিনা। তবে আগুনে আনুমানিক আমার দেড় থেকে ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোঃ লিয়াকত খান জানান, অগ্নিকান্ডের বিষয়ে কেউ থানায় জানায়নি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.